দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাড়ল র্যাবের নজরদারি ও টহল
Published: 26th, September 2025 GMT
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল বাড়িয়েছে। ঢাকায় র্যাবের ৯৪টি টহলসহ সারা দেশে ২৮১টি টহল দল মোতায়েন রয়েছে।
আজ শুক্রবার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় র্যাব মোতায়েন থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব বলেছে, দুর্গাপূজায় সারা দেশে ৩১ হাজার ৫২৬টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে স্থানীয় পূজা কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে।
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ বাংলাদেশে নাশকতার চেষ্টা করলে জানাতে আহ্বান জানিয়েছে র্যাব। এ ছাড়া দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতার জন্য র্যাবের কন্ট্রোল রুম ও প্রতিটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে টাকা তুলবেন কীভাবে
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। এই সময়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। লেনদেন হবে না দেশের দুই শেয়ারবাজারেও। ছুটি শেষে আগামী রোববার সব খুলবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী উপলক্ষে ছুটি থাকবে। এরপর ৩ অক্টোবর শুক্রবার ও ৪ অক্টোবর শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। সব মিলিয়ে চার দিন দেশের আর্থিক খাতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ৫ অক্টোবর ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে।
ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলে। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলে।
তবে এই সময়ে খোলা থাকবে সব ধরনের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা। অর্থাৎ গ্রাহকেরা কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে ও লেনদেন করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। পাশাপাশি বিকাশ, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।
কীভাবে টাকা তুলবেনটানা চার দিন ছুটির সময়ে বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সময় নগদ টাকার প্রয়োজন হলে কী করবেন? দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে বিকল্প উপায়ে টাকা তুলতে হবে।
এই সময়ে খোলা থাকবে এটিএম বুথ, এমএফএসের ক্যাশআউটসহ সব বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা লেনদেনের ব্যবস্থা।
কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে, চাইলে পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) গিয়ে লেনদেন করা যাবে। এ সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু থাকবে। পাশাপাশি বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালু থাকবে। ফলে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও আর্থিক লেনদেন চালু রাখতে সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, সারা দেশে ব্যাংকগুলোর এখন ১২ হাজার ৮১৪টি এটিএম বুথ ও ৭ হাজার ৬৪৩টি সিআরএম রয়েছে। পিওএস রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৭টি। ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫২ লাখ ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে। অবশ্য একজন গ্রাহকের একাধিক ব্যাংকের কার্ড রয়েছে।
এর বাইরে এখন ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাপসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা রয়েছে। এই সেবার মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে তাৎক্ষণিক টাকা পাঠাতে পারেন। ফলে এই ছুটিতে টাকা পাঠানোর কাজটি বন্ধ থাকবে না।
বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো এমএফএস সেবা বেশ জনপ্রিয়। এই সেবাগুলোর সবই খোলা আছে। এসব সেবায় ব্যাংক থেকে টাকা জমা করা যাচ্ছে।