Risingbd:
2025-11-17@11:05:53 GMT

ফাইনালের আগে সুপার ওভার রোমাঞ্চ

Published: 27th, September 2025 GMT

ফাইনালের আগে সুপার ওভার রোমাঞ্চ

ফাইনালের আগে `আরেক ফাইনালের’ দেখা পেল এশিয়া কাপ। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মাঠে নেমে ভারত ও শ্রীলংকার লড়াই এমন নাটকীয়তায় পরিণত হবে তা কেও ভাবতেও পারেনি। 

দুই শতাধিক রানের ম্যাচেও বিজয়ী দলের নিষ্পত্তি হয়নি। ম্যাচ টাই, গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে শ্রীলংকা স্রেফ দর্শক। ভারত শেষটা রাঙিয়ে অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালের মঞ্চে। রোববার দুবাইতেই ভারতের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।   

দুবাইয়ে শুক্রবার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ৫ উইকেটে ২০২ রান করে। এই প্রতিযোগিতাই এখন পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। জবাবে শ্রীলংকা শেষ ওভারে ১২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তুলতে পারে ১১ রান। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়নি সেখানেও। 

সুপার ওভারেও জমজমাট লড়াইয়ের আশা ছিল। কিন্তু আর্শদ্বীপের ওভারে ২ রানের বেশি নিতে পারেনি লঙ্কানরা। ৫ বল খেলে কুশল পেরেরা ও দাসুন শানাকা সাজঘরে ফিরে যান। ৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব প্রথম বলেই সমীকরণ মিলিয়ে নেন। 

ম্যাচে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও বিজিত দলে থাকতে পারেননি শ্রীলংকার ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরি রাঙানো ছিল ৭ চার ও ৬ ছক্কায়। তার ব্যাটে ভর করে শ্রীলংকা জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু শেষ ওভারে প্রথম বলে হারসিত রানা তাকে ফেরালে ভারতের ভাগ্যে ম্যাচ ফেরে। পরের গল্পগুলো কেবলই ভারতের। শ্রীলঙ্কাকে আটকে প্রথমে তারা ম্যাচ টাই করে। এরপর জিতে নেয় সুপার ওভার। নিশাঙ্কা পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার  পুরস্কার।

নিছক নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ভারত দুই পরিবর্তন করে। বুমরাহ ও দুবে বিশ্রাম নেন। আর্শদ্বীপ ও হারসিত রানা দলে আসেন।   

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। শুভমান গিল ৪ রানে  আউট হন। তবে অভিষেক শর্মাকে থামাতে পারেনি কেউ। বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান আজও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান। ৩১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করেন। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তার রান  ৩০৯। 

১২ রানের বেশি করতে পারেননি ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার। তিলক ভর্মা ৪৯ এবং সানজু স্যামসান ৩৯ রান করেন। শেষ দিকে অক্ষর পাটেলের ১৫ বলে ২১ রানে ভারত ২০২ রানের পুঁজি পায়।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমসা ১২ ওভারে ১ উইকেটেই ১৩৪ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা ১২৭ রানের জুটি গড়েন। ৯ উইকেট হাতে রেখে ৪৮ বলে তাদের দরকার ছিল ৬৯ রান। কিন্তু ওই সমীকরণ তারা মেলাতে পারেনি। আর সুপার ওভারে তো লড়াই জমাতেই পারল না।

এশিয়া কাপের দীর্ঘ ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারত ও পাকিস্তান ফাইনাল খেলবে। বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা পাকিস্তান নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। অপরাজিত দল হিসেবে ভারত এখনো হট ফেভারিট। ফাইনাল পাকিস্তান ভারতের সামনে দাড়াতে পারবে তো?

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ