ভ্রমণে নতুন মাত্রা ও আস্থার নাম ডেরা রিসোর্ট
Published: 27th, September 2025 GMT
কক্সবাজারে শত হোটেলের ভিড়ে অভিজাত ও নান্দনিক, আধুনিক বিলাসবহুল রিসোর্ট পেতে চাইলে ডেরা রিসোর্ট হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। ইনানী সমুদ্র সৈকতের হেলিপ্যাডে অবস্থিত রিসোর্টটি থেকে আপনি সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। যে কারণে পর্যটকদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে রিসোর্টটি।
শুধু কক্সবাজার নয়, মানিকগঞ্জে ডেরা রিসোর্ট রয়েছে। সেখানে আছে ডে লং প্যাকেজ এবং রাতে থাকার সুবিধা। পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সেখানে যাবতীয় সুবিধা রয়েছে। এটি অল-ইনক্লুসিভ রিসোর্ট।
ডেরা রিসোর্টে রয়েছে অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প, গল্ফ কোর্স, সুইমিং পুল, জৈব থাই স্পা, স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সেন্টার, মিনি-চিড়িয়াখানা, মাছ ধরা, ঘোড়ায় চড়া, নৌকা চালানো, সাইক্লিং, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, কনফারেন্স রুম। এ ছাড়াও ফুটবল, টেনিস এবং ব্যাডমিন্টনের মতো আকর্ষণীয় আউটডোর খেলার ব্যবস্থাও রয়েছে।
যারা মনোরম ও শান্ত জায়গায় সময় কাটাতে চান, প্রকৃতির সাথে নিজেকে হারাতে চান, তাদের জন্য সেরা গন্তব্য ডেরা রিসোর্ট। প্রকৃতির মাঝে অনন্য আনন্দ এবং বিলাসিতা অন্বেষণ করার জন্য এটি আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে। বর্তমানে রিসোর্টটিতে বিশেষ অফার চলছে।
ডেরা রিসোর্ট, ইনানী, কক্সবাজার থিম্যাটিকভাবে নির্মিত একটি বিশ্বমানের বিলাসবহুল রিসোর্ট, যেখানে ইনানী সমুদ্র সৈকতের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটের ড্রাইভ এবং কলাতলী সিটি সেন্টার থেকে ৩০ মিনিট দূরে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। এখানে দম্পতি, পরিবার বা কর্পোরেট আউটিংয়ের জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা। একদিকে পাহাড়ের প্রশান্তি এবং অন্যদিকে সমুদ্রের বিশালতা—পৃথিবীর বুকে একটি ছোট্ট স্বর্গরাজ্য আবিষ্কার করতে চাইলে ডেরা হতে পারে আপনার গন্তব্য।
পাঁচ তারকা মানের এই হোটেল দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকদের প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ক্লাস্টার জিএম ইমাম উদ্দিন আহমেদ সাদী বলেন, “আমাদের ডেরা রিসোর্ট মানিকগঞ্জ ও কক্সবাজার মানুষের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা তৈরি করেছে। ঢাকার পাশে ঘুরতে গেলে মানিকগঞ্জ এবং কক্সবাজারে ডেরা এখন জনপ্রিয়। মানুষের আস্থার জায়গায় আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ। মানুষ ভ্রমণের জন্য সবসময়ই আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা করে ডেরাকে। কারণ আমাদের সেবার মানে আমরা কোনো আপস করি না।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। বিশাল সমুদ্র, পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুক, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। সঙ্গে প্রিয়জন, পরিবার-পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধুজন থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত। এ জন্যই কক্সবাজারে আছে ফাইভ স্টার ডেরা।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেক সময় দীর্ঘ ছুটির দিনে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে নানা সমস্যা থাকে। কিন্তু ডেরা এসব ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমরা দীর্ঘদিন ধরে একইভাবে অতিথিদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি। অতিথিদের নিরাপত্তা ও স্মার্ট সেবায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হোটেলে রয়েছে অসাধারণ সব প্যাকেজ ও আকর্ষণীয় নানা অফার।”
ডেরার সুবিধাসমূহ: ওয়েলকাম ড্রিংকস, বুফে ব্রেকফাস্ট, এসি ও গিজার সুবিধা, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইন-রুম মিনারেল ওয়াটার, কফি ও চা, সমুদ্র-মুখী সুবিশাল সুইমিং পুল, নিজস্ব রেস্টুরেন্টে মুখরোচক খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস
এসব সুবিধা আপনার ভ্রমণকে করবে নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও স্মরণীয়। বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে ০১৮৮২৬৩৫০২৩, ০১৮৯৬০০১১০৫ নম্বরে।
ঢাকা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।
পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।
কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগেপরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে