ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা, পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ—যা যা হলো বিশ্ব পর্যটন দিবসে
Published: 27th, September 2025 GMT
সমুদ্রসৈকত ঘেঁষে রাস্তা দিয়ে বর্ণাঢ্য সাজে বের হয়েছে শোভাযাত্রা। ব্যান্ড দলের বাজনার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ি। সৈকতে আসা পর্যটকদের চোখেমুখে বিস্ময়। শোভাযাত্রা থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁদের হাতে ফুল তুলে দিলেন। বরণ করে নিলেন বেড়াতে আসা অতিথিদের।
কক্সবাজারে আজ শনিবার এমন রঙিন আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব পর্যটন দিবসের কর্মসূচি। এ উপলক্ষে দিনভর ট্যুরিস্ট পুলিশের মোটর শোভাযাত্রা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা ছিল।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নবাগত জেলা প্রশাসক মো.
এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’। লাবণী পয়েন্টের মুক্তমঞ্চে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ, কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল প্রমুখ।
কক্সবাজার শহরের সৈকত সড়কে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হয় ঘোড়ার গাড়ির শোভাযাত্রা। আজ লাবণি পয়েন্টেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপলক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
চরমোনাই দরবারে মাহফিল উপলক্ষে কীর্তনখোলার তীরে লাখো মুসল্লির ভিড়
তিন দিনব্যাপী ইসলামি মাহফিল উপলক্ষে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাই দরবার শরিফ মাদ্রাসার বিশাল ময়দান লাখো মুসল্লির পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে। আজ বুধবার জোহর নামাজ শেষে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে এই মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
মাহফিল উপলক্ষে এই ময়দানে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই মুসল্লিদের ভিড় শুরু হয়। আজ সকালেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাদ্রাসার বিশাল আয়তনের দুটি মাঠ। এরপর জোহরের নামাজ শেষে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাহফিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, চরমোনাই দরবারের মাদ্রাসার সুবিশাল মূল মাঠ ও ৩ নম্বর মাঠে সমাবেত হয়েছেন লাখো ভক্ত, অনুসারী ও সাধারণ মুসল্লি। মাঠ দুটিকে শামিয়ানায় আবৃত করে দেওয়া হয়েছে। আয়োজকেরা জানান, মঙ্গলবার থেকেই বাস-লঞ্চে এখানে মুসল্লিরা সমাবেত হতে শুরু করেন। আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসবেন। মাহফিল চলবে তিন দিন। এই তিন দিনই মুসল্লিদের স্রোত থাকবে এই মাহফিলে।
উদ্বোধনী পর্বে চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন, তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন, দুনিয়ার মোহই সব অন্যায়ের কারণ। তিনি বলেন, ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় জীবনকে ইসলামের আলোকে পরিচালিত করলেই সত্যিকারের মুক্তি আসবে।
আয়োজকেরা জানান, চরমোনাই দরবারের এই মাহফিলের সূচনা হয়েছিল ১৯২৪ সালে। প্রতিবছর বাংলা মাস হিসাব করে চরমোনাইয়ে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অগ্রহায়ণে কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসে সবচেয়ে বড় পরিসরের মাহফিল আয়োজন হয়। তিন দিনের এই মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় ওই দিন চরমোনাই মাঠে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে ভাষ্য আয়োজকদের। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহফিলের সমাপ্তি হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বায়ক কে এম শরীয়াতুল্লাহ জানান, তিন দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় মোট সাতটি প্রধান বয়ান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী ও সমাপনী বয়ান পেশ করেন চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, আর মাঝের তিনটি বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এ ছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় দরবারগুলোর পীর এবং শীর্ষস্থানীয় ওলামারা মাহফিলে বয়ান করবেন।
তিন দিনব্যাপী মাহফিলের প্রথম দিন আজ সকালে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। দ্বিতীয় দিন সারা দেশ থেকে আগত ওলামায়ে কিরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষ দিন সকালে সারা দেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মাহফিলে আগত যুবক, শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজন করবে বিশেষ মতবিনিময় সভা।