গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করার চেষ্টা করায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় খিচুড়ি রান্নার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে তাদের সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান হয়েছে।

আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কাশিয়ানী উপজেলার ভাট্রইধোপা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

‘সঠিক বিচারিক প্রক্রিয়ায় হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলানো নিশ্চিত করা হবে’

‘হাসিনার শাসন জঘন্যতম অধ্যায় হয়ে থাকবে’

গ্রেপ্তাররা হলেন, কাশিয়ানী উপজেলার ভাট্রইধোপা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে হাসান মোল্যা (৩২), রাইতকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের আজাদুল আলম মোল্যার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (২৩), ভাট্রইধোপা মধ্যপাড়া গ্রামের ঠান্ডু শেখের ছেলে সাফায়েতুল ইসলাম ওরফে আরমান (২৩) ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ব্রাক্ষণঝাটি গ্রামের সিরাজ মৃধার ছেলে সাগর মৃধা (২৫)।

ওসি কামাল হোসেন জানান, আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ভাট্রইধোপা গ্রামে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে। খুচুড়ি রান্নার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে তাদের আদালতে পাঠানোর সময় আত্মীয়-স্বজনেরা কাশিয়ানী থানা চত্বরে হট্টগোল করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওসি আরো বলেন, গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে গোপালগঞ্জে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করেছিল। এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাদের গোপালগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ৭৯তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তার জন্ম হয়।

ঢাকা/বাদল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ প লগঞ জ ত কর ম র জন ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ