সিলেটে মার্সেলের ব্যাবসায়িক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
Published: 29th, September 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের উদ্যোগে সিলেটে দিনব্যাপী ব্যাবসায়িক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি নগরীর দরগাহ গেইট এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট বিভাগের ডিস্ট্রিবিউটরদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মার্সেলের শতাধিক বিজনেস পার্টনার অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
প্রিমিয়াম মডেলের নতুন সাইড-বাই-সাইড ফ্রিজ উদ্বোধন করল মার্সেল
মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেলেন দুই ক্রেতা
সম্মেলনে মার্সেল ব্র্যান্ডের প্রতি সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা বজায় রাখা, পণ্য বিক্রয়ে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা ও সুবিধা প্রদান, বাজার গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সময়োপযোগী বিপণন কৌশল প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে ডিস্ট্রিবিউটরদের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে ডিস্ট্রিবিউটররা ব্যবসা পরিচালনায় তাদের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো মার্সেল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেন। পাশাপাশি ব্যাবসায়িক নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং মার্সেল পণ্য সম্পর্কে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ডিস্ট্রিবিউটরদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, “বর্তমানে ডলারের দাম অত্যধিক হারে বৃদ্ধি, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য বহু চ্যালেঞ্জ সামাল দিচ্ছে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প। এসব সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। সামনে অবারিত সুযোগ আসছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য ডিস্ট্রিবিউটরদের ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।”
মার্সেলের মতবিনিময় সভার একাংশ।
মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো.
মার্সেল (নর্থ) এর হেড অব সেলস মো. কুদরত-ই খুদা (সফওয়ান) এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেল এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক এবং টিভির সিবিও এম এম সৌরভ আক্তার প্রমুখ।
ঢাকা/মাহফুজ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জন স অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)