ইউনিভার্সেল মেডিকেলের সহায়তায় প্রথম আলোতে ‘ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’
Published: 29th, September 2025 GMT
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে প্রথম আলোতে ‘ফ্রি হার্ট ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এখান থেকে প্রথম আলোর শতাধিক কর্মী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ক্যাম্প চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ছয়জনের একটি দল ক্যাম্প পরিচালনা করেন।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ক্যাম্পের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে প্রথম আলোতে এই হার্ট ক্যাম্প করা হচ্ছে। প্রথম আলোর যে কর্মীরা চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছিলেন, তাঁদের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের ওজন ও পালসও দেখা হয়।
প্রথম আলোর কর্মীদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী