Risingbd:
2025-11-17@11:03:24 GMT

‘স্বপ্ন বাড়ি’ নিয়ে আসছেন দীপু

Published: 30th, September 2025 GMT

‘স্বপ্ন বাড়ি’ নিয়ে আসছেন দীপু

অভিনয়, উপস্থাপনা আর নির্মাণ—সব ক্ষেত্রেই নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেন আনিসুর রহমান দীপু। এখন কর্মসূত্রে থাকেন নিউ ইয়র্কে। কিন্তু থেমে নেই সাংস্কৃতিক যাত্রা। সেখান থেকেও নাটক, মিউজিক ভিডিও নির্মাণ আর নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। 

সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় যুক্ত হয়ে সেই অভিজ্ঞতাকেই পর্দায় আনছেন দীপু। নতুন এই অনুষ্ঠানের নাম ‘স্বপ্ন বাড়ি’। এর পরিকল্পনা, রচনা ও উপস্থাপনা—সবই করছেন দীপু। 

আরো পড়ুন:

আগুনে পুড়ে মারা গেছে শিশুশিল্পী ও তার ভাই

‘প্রাক্তনকে নিয়ে বলতে গিয়ে আমার চোখে জল নেই, বুকও ব্যথা করছে না’

টেলিভিশনে দীপুর যাত্রা শুরু হয় ইমদাদুল হক মিলন রচিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘যুবরাজ’ দিয়ে। মজার ব্যাপার, নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমানোর আগে তার অভিনীত শেষ নাটকটিও মিলনের গল্পে ‘কোন গ্রামের মেয়ে’। সেই নাটকে তার অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-তেও নিয়মিত মুখ ছিলেন। দেশে থাকাকালীন অসংখ্য নাটক ও অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গেছে। 

‘স্বপ্ন বাড়ি’ প্রসঙ্গে দীপু বলেন, “এটা শুধু প্রচলিত রিয়েল এস্টেট অনুষ্ঠান হবে না। এখানে আলোচনা থাকবে, তবে সঙ্গে আরো নানা দিকও তুলে ধরা হবে। যাতে দর্শকরা সহজভাবে বিষয়গুলো বুঝতে পারেন।” 

দীর্ঘ অভিনয় ও উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। দীপুর ভাষায়—“আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান এবং প্রযোজক মনোয়ার পাঠান ভাই সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের অনুপ্রেরণাতেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে এগোচ্ছি।” 

খুব শিগগির আরটিভির দর্শকদের সামনে হাজির হবে দীপুর নতুন আয়োজন ‘স্বপ্ন বাড়ি’।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ