পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দেওয়া সব ধরনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সৈয়দ গতকাল (২৯ সেপ্টেম্বর) একটি নোটিশের মাধ্যমে খেলোয়াড় এবং তাদের এজেন্টদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদন সাপেক্ষে, বিদেশি লিগ ও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের সব অনাপত্তিপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।’

হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তার কোনো কারণ পিসিবি জানায়নি। তবে ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে পিসিবির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, পিসিবি নাকি পারফরম্যান্স-ভিত্তিক একটি নতুন নীতিমালা তৈরি করছে, যার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এনওসি দেওয়া হবে। বোর্ডের উদ্দেশ্য, খেলোয়াড়েরা যেন বিদেশি লিগের চেয়ে জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার প্রতি বেশি মনোযোগ দেন। কিন্তু এই মূল্যায়নপ্রক্রিয়া কত দিন চলবে বা কবে নাগাদ এনওসি দেওয়া শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

পিসিবির এই সিদ্ধান্ত অনেক খেলোয়াড়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিসহ মোট সাতজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের খেলার কথা ছিল। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএলটি-টোয়েন্টির নিলামের জন্যও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ১৮ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়। তাঁদের মধ্যে আছেন নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানের মতো তারকারা।

আরও পড়ুনসাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না, বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ৮ ঘণ্টা আগে

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারের পর এমন একটি সিদ্ধান্ত আসায় তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের আগেই পাকিস্তান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে।

অক্টোবরে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফি শুরু হওয়ার কথা। যদিও টুর্নামেন্টটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা পিছিয়ে অক্টোবরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনভারতকে আইসিসি কেন কিছু বলতে পারে না১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০.১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.০০১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে শনিবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। আর ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ ডিসেম্বর।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.৩২) টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩৫) টাকা।

এদিকে, সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৫০ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস ছিল ০.২৯ টাকা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২.৫৩ টাকা।

এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্য সীমা থাকবে না।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের লভ্যাংশ ঘোষণা