দেশটা আমাদের, আমরা সবাই সমান: পূজামণ্ডপ পরিদর্শনেকালে সজল
Published: 1st, October 2025 GMT
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা নবমীতে শহর ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।
বুধবার ( ১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় থেকে রাত পর্যন্ত শহরের নগর খানপুর সিদ্ধিগোপাল আখড়া পূজা মন্ডপ, গোদনাইল হাজারীবাগ শ্রী দূর্গা মন্দির পূজা মন্ডপ, নিউ লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস সার্বজনীন দূর্গা মন্দির পূজা মন্ডপসহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন মনিরুল ইসলাম সজলের নেতৃবৃন্দতে যুবদলের নেতাকর্মীরা।
পরিদর্শনকালে মনিরুল ইসলাম সজল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিটি মণ্ডপে গিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পূজা উদ্যাপনের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এসময়ে মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। এদেশে আমরা মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বসবাস করি। দেশটা আমাদের, আমরা সবাই সমান। এখানে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এতে কেউ কোন বাধা বিভক্তি করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন সবার আগে বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা সবাই মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে এদেশে বসবাস করতে চাই। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আপনাদের শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করবেন। মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, যুবদল নেতা রহমত উল্লাহ, নাসের হক ইমন, আঃ রহমান, সজিব আহমেদ, রানা মিয়াসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)