সাংবাদিকদের দেশকে ভালোবাসার অনুরোধ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের
Published: 1st, October 2025 GMT
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম বলেছেন, “সাংবাদিকদের কোনো দল নেই, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। সাংবাদিকরা চাইলেই সমাজে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।”
বুধবার (১ অক্টোবর) কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
গণমাধ্যমের সঙ্গে ইসির সংলাপ ৬ অক্টোবর
তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিককে মামলায় জড়ালো পুলিশ
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের আইন জানতে হবে এবং সেই আইন প্রয়োগ করতে হবে। আমরা সাংবাদিকদের জন্য একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু করেছি। এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তারপরও আমি চেষ্টা করছি, এই ডাটাবেজ তৈরি করার। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষা এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে প্রেস কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে। তবে স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও জরুরি।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াছিন সাদীক, কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ রিজিওনের পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সব সদস্য এবং কুয়াকাটার স্থানীয় একাধিক সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
ঢাকা/ইমরান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)