Risingbd:
2025-11-17@11:05:56 GMT

পণ্ডিত চন্নুলাল মারা গেছেন

Published: 2nd, October 2025 GMT

পণ্ডিত চন্নুলাল মারা গেছেন

হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত চন্নুলাল মিশ্রা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে। 

এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন চন্নুলাল মিশ্রা। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে তার কন্যার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর আগে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

‘আমি আর জাহ্নবী মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলাম’

ভারতের সবচেয়ে সফল অভিনেতা শাহরুখ

পণ্ডিত মিশ্রা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সংগীতের এই ধারাকে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রশংসিত হন তিনি। ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতিতে তার অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছেন সংগীতপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ কাছ থেকেও। 

পণ্ডিত চন্নুলাল মিশ্রার প্রয়াণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত চন্নুলাল মিশ্রাজির প্রয়াণে গভীর শোকাহত। ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন্য তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুধু শাস্ত্রীয় সংগীতকে সাধারণ মানুষের কাছেই পৌঁছে দেননি, বরং ভারতীয় ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করতেও অমূল্য অবদান রেখেছেন। আমি সৌভাগ্যবান যে তার স্নেহ ও আশীর্বাদ সবসময় পেয়েছি। ২০১৪ সালে বারানসি আসনের জন্য আমার প্রস্তাবকও ছিলেন তিনি। আমি তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।” 

পণ্ডিত চন্নুলাল মিশ্রার শেষকৃত্য আজ বিকাল ৫টায় বারাণসীতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সংগীতপ্রেমী ও পরিবারের সদস্যরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।  

পণ্ডিত চন্নুলাল মিশ্রা মৃত্যুকালে পুত্র রামকুমার মিশ্রা (তবলা বাদক) এবং তিন কন্যাকে রেখে গেছেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ