বাগেরহাটে থানা হাজত থেকে আসামির পলায়ন
Published: 4th, October 2025 GMT
বাগেরহাটের শরণখোলা থানার হাজতখানা থেকে মাদক মামলার আসামি বাইজীদ পালিয়ে গেছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে তিনি পালিয়ে যান। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে বাইজীদকে (২০) মাদকসহ আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানার হাজতে রাখা হয়।
আরো পড়ুন:
১৪টি ভাষার পাঠ্যপুস্তকে গায়ক জুবিনের জীবনী
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, ‘‘শনিবার সকালে হাজতে থাকা অবস্থায় বাইজীদ টয়লেটে যাওয়ার কথা বললে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য তাকে থানার টয়লেটে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।’’
তিনি আরো জানান, পলাতক বাইজীদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম ব ইজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মৌসুম শেষে খালি ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরছেন জেলেরা
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে সাগর। ফলে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল থেকে একে একে ফিশিং ট্রলারগুলো কূলে ফিরতে শুরু করেছে।
আরো পড়ুন:
পটুয়াখালীতে ৫ কেজির পোয়া মাছ ৮০ হাজারে বিক্রি
পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়ল ১১ কেজির কাতল
ঘাটে ফেরা জেলেরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে তারা শেষ ট্রিপে সাগরে গিয়েছিলেন। প্রথম দিকে জাল ফেলতে পারলেও বুধবার থেকে প্রবল বাতাস শুরু হয়। এতে বাধ্য হয়ে দ্রুত জাল গুটিয়ে ঘাটে ফিরতে হয়েছে। পর্যাপ্ত মাছ ধরা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ ট্রলারই খালি হাতে ফিরে এসেছে।
শরণখোলা মৎস্য আড়ৎদার মো. কবির হাওলাদার বলেন, “বড় ট্রলারগুলো এবার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রতিটি ট্রলারে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হলেও একটিতেও আশানুরূপ মাছ উঠেনি। তবে ছোট ট্রলারগুলোতে অল্প পরিমাণে ইলিশ পাওয়া গেছে।”
শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, “এবার এমনিতেই ইলিশ তেমন পাওয়া যায়নি। আশা ছিল, নিষেধাজ্ঞার আগের শেষ ট্রিপে কিছুটা ক্ষতি পোষানো যাবে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় বড় ট্রলারগুলো প্রায় শূন্য হাতে ফিরেছে। এতে ট্রলার মালিক ও জেলেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।”
শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার বলেন, “মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। মৌসুম শেষ হওয়ার আগে বৈরি আবহাওয়ার কারণে জেলেরা আশানুরূপ মাছ আহরণ করতে পারেননি। ইতোমধ্যে অনেক ট্রলার সাগর থেকে ফিরে এসেছে।”
তিনি আরো বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/শহিদুল/মেহেদী