বন্দরে দরজা ভেঙ্গে হাসান (৩০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সোয়া ৬টায় মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার নবীগঞ্জস্থ জনৈক ইমরান চৌধুরী বাপ্পী মিয়ার পরিতাক্ত টিনসেড ঘরে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। 

খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ রাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙ্গে ওই যুবকের ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। আত্মহত্যাকারি যুবকের নাম জানা গেলেও তার পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। 

এ ঘটনায় বাড়ী মালিক ইমরান চৌধুরী বাপ্পী বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। যার অপমৃত্যু মামলা নং- ৩০ তাং-৩-১০-২০২৫ইং।

অপমৃত্যু মামলা এজাহারের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১ অক্টোবর)  রাত ৮টায় ভিকটিম হাসান শরীরে প্রচন্ড জ্বর অবস্থায় আমার অপমৃত্যু মামলার বাদী বাসায় এসে থাকার জন্য আশ্রয় চায়। পরে বাসার মালিক ইমরান চৌধুরী  মানবিক কারনে উল্লেখিত ভিকটিমকে তার পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরে থাকার জন্য আশ্রয় দেয়।

এর ধারাবাহিকতা  গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর)  বিকেল ৫টায় অপমৃত্যুর মামলার বাদী ইমরান চৌধুরী বাপ্পীসহ তার পরিবারের লোকজন ফতুল্লা  থানাধীন তার বোনের বাড়ীতে দাওয়াতে যায়। একই তারিখ সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বাদীর ভাড়াটিয়া খলিল মিয়া ফোন করে বাসার মালিককে জানায় ভিকটিম মোঃ হাসান (৩০) পরিত্যক্ত টিনসেড রুমের ভিতর হইতে দরজা বন্ধ করিয়া তার ব্যবহৃত গামছা দ্বারা ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে।

পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলে আত্মহত্যার কারন জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ ইমর ন চ ধ র অপম ত য র জন য য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

আয়ারল্যান্ড কি ইচ্ছা করেই আজ মুশফিককে সেঞ্চুরি করতে দেয়নি

নাজমুল হোসেন আউট হয়ে যাওয়ার পর ড্রেসিংরুম থেকে বের হতে একটু দেরিই করলেন মুশফিকুর রহিম। গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকদের প্রায় সবার ফোনের ক্যামেরাই তখন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের দরজায় তাক করা। মুশফিকের শততম টেস্টে ব্যাটিং করতে যাওয়ার মুহূর্তটাকে ফ্রেমবন্দী করে রাখতে চান তাঁরা।

আজ মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পুরো দিনই যেন সাজিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁর জন্য। সকালে ম্যাচ শুরুর আগে মিনিট দশেকের অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য স্মারক বিশেষ ক্যাপ ছিল। মাঠের একপ্রান্তে টানানো হয়েছিল বড় ব্যানার। গ্যালারির দর্শকদের গায়ে ছিল শততম টেস্টে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো জার্সি।

এত সব আয়োজন আরও রঙিন করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন মুশফিক। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়ার বিরল কীর্তিতে নাম লেখাতে তাঁর দরকার আর মাত্র ১ রান। সেই অপেক্ষাটা যেন না করতে হয়, সেজন্য শেরেবাংলার গ্যালারিতে একটা বাড়তি উন্মাদনাই তৈরি হয়েছিল।

একটা দৃশ্যের বর্ণনা করলে ঘটনাটা বুঝতে সহজ হবে— আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষ ওভারে তাঁর দরকার ছিল ৩ রান। গ্যাবিন হোইয়ের সেই ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিকই। তৃতীয় বলে গিয়ে প্রথম রান নেন তিনি। স্ট্রাইকে আসেন লিটন দাস।

সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারি থেকে আওয়াজ উঠতে থাকে ‘সিঙ্গেল’, ‘সিঙ্গেল’। লিটন তা নিয়ে পঞ্চম বলে মুশফিককে স্ট্রাইক দেন। এবার গ্যালারি থেকে ভেসে আসে ‘মুশফিক’, ‘মুশফিক’ স্লোগান। কিন্তু এক রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি।

শেষ ওভারে ৩ রান দরকার হলেও মুশফিক নিতে পেরেছেন ১

সম্পর্কিত নিবন্ধ