Prothomalo:
2025-11-20@06:02:49 GMT

২১ বছর পর কী নিয়ে আসছে শহরতলী

Published: 5th, October 2025 GMT

ভক্তরা বলে, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতে নতুন ধারা এনেছে ‘শহরতলী’। এ ধারাকে বলা হচ্ছে ‘থিয়েট্রিক্যাল রক’ অর্থাৎ গান, কবিতা ও সংলাপকে একবিন্দুতে এনে তৈরি করা হয়েছে ভিন্ন এক আবহ। ২০০৪ সালে এ ধরনের গান নিয়ে শুরু হয় পথচলা। আজ পথচলার ২১ বছর পার করছে তারা। এ উপলক্ষে প্রকাশ পাচ্ছে ব্যান্ডটির নতুন গান ‘অপ্রলাপ’। এটি ব্যান্ডটির তৃতীয় অ্যালবাম ‘এখন, এখানে.

..–এ’র শেষ গান।

প্রতিষ্ঠা: ৬ অক্টোবর ২০০৪
ঘরানা: থিয়েট্রিক্যাল রক
প্রকাশিত অ্যালবাম: ‘বরাবর শহরতলী’, ‘অপর পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য’ ও ‘এখন, এখানে...’
জনপ্রিয় গান: আসাদের খোলা চিঠি, জেলখানার চিঠি, ফেলানী, গণজোয়ার, দেশমাতার কাছে চিঠি
বর্তমান লাইনআপ মিশু খান (ভোকাল, রিদম গিটার), জিল্লুর রহমান (পারফর্মিং ভোকাল), সাদি মাহমুদ (কি-বোর্ড), ফাহিম পাশা (লিড গিটার), মাহবুবুল আকরাম (ড্রামস), রাজিবুর রহমান (বেজ গিটার) এবং মাহিবুল হাসান (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার)।

গানটি লিখেছেন ব্যান্ডের পারফর্মিং ভোকাল জিল্লুর রহমান, সুর করেছেন মিশু খান। সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’। আজ সোমবার রাত ৯টায় শহরতলীর ইউটিউব চ্যানেলে গানটির অ্যানিমেটেড চিত্র প্রকাশ পাবে। স্পটিফাইসহ বিশ্বের অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও গানটি শোনা যাবে।

গানটি নিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জীবনের নানাবিধ সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ আশা ও নিরাশার মধ্যবর্তী অমীমাংসিত এক দ্বন্দ্বের ভেতর পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। কেউ কেউ স্রেফ আশার ওপর ভর করে টিকে থাকার নিরন্তর লড়াইয়ে শামিল হয়, কেউ–বা ক্লান্ত–বিপর্যস্ত হয়ে টেনে দিতে উদ্যত হয় জীবন নাটকের যবনিকা। এ দুইয়ের টানাপোড়েনের ভেতরই এগিয়ে চলে জীবন। কিন্তু মানুষ তবু পৌঁছাতে পারে না তার সেই আদর্শ জীবনের কাছে, যেখানে তাকে রাতদিন তাড়া করে ফিরবে না অগণিত অমীমাংসিত প্রশ্ন। “অপ্রলাপ” গানে উঠে এসেছে মানুষের ভেতরকার চলমান সেই টানাপোড়েনের গল্প।’

আরও পড়ুনতিন বছর পর অর্থহীন০২ অক্টোবর ২০২৫

২০০৪ সালে ঢাকা কমার্স কলেজের তিন বন্ধু মিশু খান, গালিব আজিম ও বিদ্যুৎ রহমান মিলে একটি ব্যান্ড গঠনের চিন্তা করেন। এর আগপর্যন্ত আলাদা আলাদা সংগীতচর্চা করলেও একসঙ্গে কিছু একটা করার তাড়না থেকে জন্ম নেয় ব্যান্ড শহরতলী। পরে বেজিস্ট হিসেবে যুক্ত হন তপন মাহমুদ, ড্রামার হিসেবে শরিফুল সানী। ২০১২ সালে গালিব ও বিদ্যুৎ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে বড়সড় সংকটের মধ্যে পড়ে শহরতলী। এই সময়ে পারফর্মিং ভোকাল হিসেবে ব্যান্ডে যোগ দেন জিল্লুর রহমান। ২০১৯ সালে বেজ গিটারে যোগ দেন রাজিবুর রহমান আর ২০২০ সালে কি–বোর্ডে যুক্ত হন সাদি মাহমুদ। পরে ২০২২ সালে একে একে ব্যান্ডে যুক্ত হন মাহবুবুর আকরাম (ড্রামস), ফাহিম পাশা (গিটার) এবং সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মাহিবুল হাসান।

শহরতলীর সদস্যরা। ছবি: ব্যান্ডের সৌজন্যে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রশাসনের আশ্বাসে মাদারগঞ্জে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতি থেকে আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচি প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বুধবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আলোচনার পর সাত দিনের জন্য এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে টানা সাত দিন ধরে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, থানায় স্থানীয় প্রশাসন, বড় দুটি সমিতির মালিকপক্ষের লোকজন ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় আগামী সাত দিনের মধ্যে বড় বড় সমিতির মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে টাকা ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন। পরে সাত দিনের জন্য কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। আমরাও তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। আলোচনায় টাকা উদ্ধারে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে বড় বড় সমিতি থেকে টাকা উদ্ধারে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তাঁদের কথায় আমরাও আশ্বস্ত হই। তবে আগামী সাত দিনের মধ্যে টাকা উদ্ধারে কোনো অগ্রগতি দেখাতে না পারলে, আবারও ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ বলেন, ‘আলোচনায় টাকা উদ্ধারের কিছু অগ্রগতি আন্দোলনকারীদের দেখানো হয়েছে। এতে তাঁরা সন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে বড় দুটি সমিতির মালিকপক্ষ গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং দুটি সমিতির কেনা অনেক জমির দলিল দিয়েছেন। ওইসব জমি বিক্রি করে গ্রাহকদের মধ্যে টাকা দেওয়া হবে। চেষ্টা করব, সাত দিনের মধ্যে যাতে টাকা উদ্ধারে আরও অগ্রগতি বাড়ে।’

১১ নভেম্বর থেকে ‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’র ব্যানারে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল। এতে ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নেন। এক বছর ধরে এই ব্যানারে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, মশালমিছিল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও একাধিকবার উপজেলা পরিষদ ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু কোনো গ্রাহকই টাকা ফেরত পাননি।

জেলা সমবায় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা সমবায় সমিতিগুলোয় ছিল। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের দাবি, ২৩টি সমিতির মধ্যে আল–আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধনু অন্যতম। ছয়টি সমিতির কাছে জমা আছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। শুধু মাদারগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের একটি হিসাব করে দেখা গেছে, প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সমিতিগুলোয় আছে। এ ছাড়া ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরে কয়েক হাজার গ্রাহক আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ