Prothomalo:
2025-11-10@03:37:39 GMT

২১ বছর পর কী নিয়ে আসছে শহরতলী

Published: 5th, October 2025 GMT

ভক্তরা বলে, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতে নতুন ধারা এনেছে ‘শহরতলী’। এ ধারাকে বলা হচ্ছে ‘থিয়েট্রিক্যাল রক’ অর্থাৎ গান, কবিতা ও সংলাপকে একবিন্দুতে এনে তৈরি করা হয়েছে ভিন্ন এক আবহ। ২০০৪ সালে এ ধরনের গান নিয়ে শুরু হয় পথচলা। আজ পথচলার ২১ বছর পার করছে তারা। এ উপলক্ষে প্রকাশ পাচ্ছে ব্যান্ডটির নতুন গান ‘অপ্রলাপ’। এটি ব্যান্ডটির তৃতীয় অ্যালবাম ‘এখন, এখানে.

..–এ’র শেষ গান।

প্রতিষ্ঠা: ৬ অক্টোবর ২০০৪
ঘরানা: থিয়েট্রিক্যাল রক
প্রকাশিত অ্যালবাম: ‘বরাবর শহরতলী’, ‘অপর পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য’ ও ‘এখন, এখানে...’
জনপ্রিয় গান: আসাদের খোলা চিঠি, জেলখানার চিঠি, ফেলানী, গণজোয়ার, দেশমাতার কাছে চিঠি
বর্তমান লাইনআপ মিশু খান (ভোকাল, রিদম গিটার), জিল্লুর রহমান (পারফর্মিং ভোকাল), সাদি মাহমুদ (কি-বোর্ড), ফাহিম পাশা (লিড গিটার), মাহবুবুল আকরাম (ড্রামস), রাজিবুর রহমান (বেজ গিটার) এবং মাহিবুল হাসান (সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার)।

গানটি লিখেছেন ব্যান্ডের পারফর্মিং ভোকাল জিল্লুর রহমান, সুর করেছেন মিশু খান। সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’। আজ সোমবার রাত ৯টায় শহরতলীর ইউটিউব চ্যানেলে গানটির অ্যানিমেটেড চিত্র প্রকাশ পাবে। স্পটিফাইসহ বিশ্বের অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও গানটি শোনা যাবে।

গানটি নিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জীবনের নানাবিধ সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ আশা ও নিরাশার মধ্যবর্তী অমীমাংসিত এক দ্বন্দ্বের ভেতর পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। কেউ কেউ স্রেফ আশার ওপর ভর করে টিকে থাকার নিরন্তর লড়াইয়ে শামিল হয়, কেউ–বা ক্লান্ত–বিপর্যস্ত হয়ে টেনে দিতে উদ্যত হয় জীবন নাটকের যবনিকা। এ দুইয়ের টানাপোড়েনের ভেতরই এগিয়ে চলে জীবন। কিন্তু মানুষ তবু পৌঁছাতে পারে না তার সেই আদর্শ জীবনের কাছে, যেখানে তাকে রাতদিন তাড়া করে ফিরবে না অগণিত অমীমাংসিত প্রশ্ন। “অপ্রলাপ” গানে উঠে এসেছে মানুষের ভেতরকার চলমান সেই টানাপোড়েনের গল্প।’

আরও পড়ুনতিন বছর পর অর্থহীন০২ অক্টোবর ২০২৫

২০০৪ সালে ঢাকা কমার্স কলেজের তিন বন্ধু মিশু খান, গালিব আজিম ও বিদ্যুৎ রহমান মিলে একটি ব্যান্ড গঠনের চিন্তা করেন। এর আগপর্যন্ত আলাদা আলাদা সংগীতচর্চা করলেও একসঙ্গে কিছু একটা করার তাড়না থেকে জন্ম নেয় ব্যান্ড শহরতলী। পরে বেজিস্ট হিসেবে যুক্ত হন তপন মাহমুদ, ড্রামার হিসেবে শরিফুল সানী। ২০১২ সালে গালিব ও বিদ্যুৎ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালে বড়সড় সংকটের মধ্যে পড়ে শহরতলী। এই সময়ে পারফর্মিং ভোকাল হিসেবে ব্যান্ডে যোগ দেন জিল্লুর রহমান। ২০১৯ সালে বেজ গিটারে যোগ দেন রাজিবুর রহমান আর ২০২০ সালে কি–বোর্ডে যুক্ত হন সাদি মাহমুদ। পরে ২০২২ সালে একে একে ব্যান্ডে যুক্ত হন মাহবুবুর আকরাম (ড্রামস), ফাহিম পাশা (গিটার) এবং সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে মাহিবুল হাসান।

শহরতলীর সদস্যরা। ছবি: ব্যান্ডের সৌজন্যে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আর্জেন্টিনা দলের সবার শরীরে ট্যাটু, আলভারেজের নেই কেন

আতলেতিকো মাদ্রিদের এই দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কে?

বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমী সম্ভবত একটাই নাম বলবেন—হুলিয়ান আলভারেজ। গত বছরের আগস্টে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আতলেতিকোতে যোগ দেওয়ার পর এই বছরখানেকের মধ্যেই তিনি হয়ে উঠেছেন কোচ দিয়েগো সিমিওনের বড় আস্থা। এই মৌসুমে লা লিগা আর চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে করেছেন ৯ গোল। এর মধ্যে ৭টি লা লিগায়। লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফির দৌড়ে তিনি আপাতত দ্বিতীয় স্থানে।

ফরাসি দৈনিক লে’কিপকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নিজের ফুটবলযাত্রার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পথচলার গল্প বলেছেন আলভারেজ। ২০২২ সালের জুলাইয়ে এই আর্জেন্টাইন পাড়ি জমিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ম্যান সিটিতে, সেখান থেকে স্পেনের আতলেতিকো—ইউরোপে মাত্র তিন বছরের এই পথচলায় তিনি আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার।

শৈশবে রিয়াল মাদ্রিদে ট্রায়াল দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনই ইউরোপে পাড়ি জমানোটা তাঁর কাছে সঠিক সময় মনে হয়নি। সাক্ষাৎকারে আলভারেজ বলেছেন, ‘১১ বছর বয়সে আমি বাবার সঙ্গে স্পেনে গিয়েছিলাম। প্রায় ২০ দিন ছিলাম সেখানে। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে অনুশীলন করেছি, পেরালাদায় একটা টুর্নামেন্টও খেলেছি, জিতেছিও। কিন্তু থাকতে হলে পুরো পরিবারকে স্পেনে চলে আসতে হতো। অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল, তবে তখন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমার জন্য খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যেত।’

আরও পড়ুন আলভারেজ–ছোঁয়ায় কি এবার আতলেতিকোর গল্প বদলে যাবে০৪ মার্চ ২০২৫

আধুনিক ফুটবলে শারীরিক শক্তি এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর মূল স্ট্রাইকারদের মধ্যে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার কাউকে পাওয়া বিরল। ছোটবেলা থেকেই আলভারেজকে তাঁর এই উচ্চতা নিয়ে লড়াই করতে হয়েছে।

আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে ট্যাটু যেন সমার্থক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আর্জেন্টিনা দলের সবার শরীরে ট্যাটু, আলভারেজের নেই কেন