সেনাপ্রধানের একটি বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: আইএসপিআর
Published: 6th, October 2025 GMT
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের একটি বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে-যা একটি উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার।
সোমবার (৬ অক্টোবর) আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইউপিডিএফের গোপন আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ
যৌথ বাহিনীর অভিযান, এক সপ্তাহে আটক ৬৯
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ আরো উন্নত ও গতিশীল করার উপায় সন্ধানে আয়োজিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোতায়েন এবং এর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ উপস্থাপিত হয়। এই আলোচনায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধি (সিআরপিসি) ১২৭-১৩২ ধারা, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়। আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মাঠে নিয়োজিত সেনাদল কর্তৃক প্রযোজ্য আইনের ধারা সঠিকভাবে অনুধাবন করে পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব সঠিক-সুচারুরূপে পালনে সক্ষম করাই ছিল এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এ মাঠে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায় মুক্তির বিষয়ে কথা ওঠে। সেনাপ্রধান আলোচনার অংশ হিসেবে সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪)-এর সঙ্গে এর সাংঘর্ষিক অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সিআরপিসির অধীনে সরকারি আদেশে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনা সদস্যরা প্রদত্ত আইনি বিধান অনুসারে বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করেন। অতএব, দায়িত্বরত এই সেনা সদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনার কোনো পর্যায়েই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রি মহল বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ ও হীন উদ্দেশ্যে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্টাডি পিরিয়ডের বিষয়বস্তু ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পেশাদারি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, একটি অসাধু ও কুচক্রি মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনী প্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। এমন অবস্থায় এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ র ন ত কর উদ দ শ য স আরপ স প রদত ত উপস থ প
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সাথে সংঘর্ষ ‘বিপর্যয়কর ধ্বংস’ ডেকে আনবে: পাকিস্তান
ভারতের সাথে ভবিষ্যতে যে কোনো সংঘর্ষ ‘বিপর্যয়কর ধ্বংস’ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তান কোনো দ্বিধা বা সংযম ছাড়াই দৃঢ়ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে। শনিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
ভারতের শীর্ষ বেসামরিক-সামরিক নেতৃত্বের উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে ‘পিছিয়ে থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে ইতিহাস ও ভূগোল বদলের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “স্যার ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনো আগ্রাসনের জবাবে এমন প্রত্যাঘাত হবে, যার অভিঘাতে ইতিহাস ও ভূগোল উভয়ই বদলে যাবে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার জানিয়েছিল, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, মানচিত্রে পাকিস্তানকে তার স্থান ধরে রাখতে হলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতামূলক সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় বাহিনী ‘এবার কোনও সংযম দেখাবে না।’
শনিবার এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের আইএসপিআর বলেছে, “ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও তার সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী প্রধানদের অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের মুখে, আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি যে ভবিষ্যতে সংঘাত ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদি নতুন করে শত্রুতা শুরু হয়, তাহলে পাকিস্তান পিছিয়ে থাকবে না। আমরা কোনো দ্বিধা বা সংযম ছাড়াই দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব।”
ঢাকা/শাহেদ