ইংরেজি-গণিতে দুর্বল শিক্ষার্থী বেড়েছে
Published: 7th, October 2025 GMT
দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে ইংরেজি ও গণিতে দুর্বল শিক্ষার্থীর হার আরও বেড়েছে। আগে থেকেই মাধ্যমিকে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। নতুন করে অবনতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে গণিত বিষয়ে ‘খারাপ’ শিক্ষার্থীর হার ছিল ২২ শতাংশের কিছু বেশি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ।
দশম শ্রেণিতেও গণিতে দুর্বল শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে। ইংরেজিতে দুর্বল শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে অষ্টম শ্রেণিতে।
দেশের ৯৯৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার অষ্টম ও দশম শ্রেণির ৩০ হাজার করে শিক্ষার্থীর ওপর এ মূল্যায়নভিত্তিক গবেষণা করে মাউশি। গত বছরের ১২ জুলাই সারা দেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনবিদ্যালয়ে যেনতেন পড়াশোনা, ভরসা কোচিং ও গৃহশিক্ষক২১ ঘণ্টা আগে‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় মূল্যায়ন-২০২৩’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যা এখন প্রকাশের অপেক্ষায়।
দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যতটুকু শেখার কথা, বড় অংশ তা পারছে না। প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন না করেই অনেকে উচ্চতর শ্রেণিতে উঠছে। শিক্ষাজীবনে ১২ বছরের বেশি ইংরেজি পড়েও অনেকে ভাষাটিতে সাধারণ কথোপকথন চালাতে পারে না। সাধারণ বাক্য গঠনে হিমশিম খায়। গণিতে হিসাব করার ক্ষেত্রেও তারা পিছিয়ে থাকে।
১৯৭৪ সালে ড.
২২ বছর বয়সী এক তরুণ সম্প্রতি ইউরোপের একটি দেশে গেছেন দোকানকর্মীর চাকরি নিয়ে। তিনি এইচএসসি পাসের পর আর পড়াশোনা করেননি। জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ইংরেজিতে যদি কথা বলতে পারতেন, তাহলে ভালো কাজ, ভালো বেতন পেতেন।
প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনকে পাঁচটি স্তরে (ব্যান্ড) ভাগ করে দেখানো হয়। এর মধ্যে ব্যান্ড ২-কে খুবই খারাপ, ব্যান্ড ৩-কে খারাপ বা গড়পড়তা বলা হচ্ছে। এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জনে দুর্বল অবস্থায় আছে। ব্যান্ড ৩-কে মোটামুটি ভালো, ব্যান্ড ৪-কে ভালো এবং ব্যান্ড ৬-কে খুবই ভালো বলা হচ্ছে।৯৮ লাখ শিক্ষার্থীদক্ষতা অর্জনের স্তরে শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য দেখা গেছে। শহরের শিক্ষার্থীরা গ্রামের শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক এগিয়েউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র বল শ ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন, পেনশনসহ অন্য প্রাপ্যতা রিভিজিট করতে কেন নির্দেশ নয়: হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পারিতোষিক, পেনশন ও বিশেষাধিকারসংক্রান্ত আইন প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন দুটি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বেতন, পেনশনসহ অন্যান্য প্রাপ্যতা রিভিজিট (পুনরায় দেখা) করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের জন্য বিদ্যমান গবেষণা সুবিধা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা বিষয়ে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনসচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন এবং ২০২৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেনসহ ১৩ আইনজীবী ও আইন শিক্ষার্থী চলতি মাসে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাংলাদশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আর্থিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বনিম্ন ধাপে রয়েছে। যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতির বেতন প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, পাকিস্তানে ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা, ভুটানে ১ লাখ ৯১ হাজার থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, মালদ্বীপে প্রায় ৭ লাখ টাকা, সেখানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পান। এই অসামঞ্জস্য শুধু আর্থিক নয়, বরং বিচার বিভাগের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের মানের প্রতিও সাংঘর্ষিক।
রিট আবেদনকারীপক্ষের ভাষ্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। সংবিধানের ৯৪(৪) ও ১৪৭(২এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংবিধান প্রদত্ত সুরক্ষিত একটি অধিকার। তবে ২০২১ ও ২০২৩ সালের উল্লিখিত আইন দুটি বিচারকদের বেতন, পেনশন ও বিশেষাধিকার—এমনভাবে নির্ধারণ করেছে, যা বাস্তবে তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন রছে। ফলে আইন দুটি সংবিধানের পরিপন্থী।