স্বামী-শাশুড়ির অনুরোধে বাড়ি ফেরার দেড় ঘণ্টা পর গৃহবধূর মৃত্যু, হত্যার অভিযোগ
Published: 7th, October 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বাড়ির সামনে ভ্যানের ওপর পড়ে থাকা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চর-শালনগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
মৃত গৃহবধূর নাম জান্নাতি ইসলাম (১৮)। তিনি লোহাগড়া উপজেলার শালনগর গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার (৩০) স্ত্রী। জান্নাতির বাবার বাড়ি একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে জান্নাতিকে হত্যা করেছে।
জান্নাতির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জুন মাসে পারিবারিকভাবে সাজ্জাদের সঙ্গে বিয়ে হয় জান্নাতির। বিয়ের পর থেকেই সাজ্জাদ ও তাঁর পরিবার যৌতুকের দাবিতে জান্নাতিকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ শুরু করে। একপর্যায়ে পারিবারিক কলহের কারণে গত মাসের ৩০ তারিখে জান্নাতি তাঁর বাবার বাড়িতে ফিরে যান। এরপর তিন দিন পর সাজ্জাদ নিজেই শ্বশুরবাড়িতে এসে জান্নাতিকে ফেরত নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে তাঁর বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে জান্নাতি মারধরের শিকার হন। পরে জান্নাতির মা জামাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সাজ্জাদ ও তাঁর মা অনুরোধ করে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর বেলা দেড়টার দিকে সাজ্জাদের মুঠোফোন থেকে জান্নাতির বাবাকে জানানো হয় যে জান্নাতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং তাকে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে জান্নাতির বাবা-মা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য বেসরকারি ক্লিনিকে মেয়ের খোঁজ নেন। পরে স্থানীয় একজন ফোন করে জানান, সাজ্জাদের বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর একটি অটোভ্যানে জান্নাতির মরদেহ পড়ে আছে। তবে সাজ্জাদের বাড়িতে তালা ঝুলছিল এবং পরিবারের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল না। লোহাগড়া থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার রাতে লোহাগড়া থানা চত্বরে জান্নাতির মা–বাবার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই সাজ্জাদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জান্নাতিকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করছিলেন। তাঁরা দাবি করেছেন, সাজ্জাদ ও তাঁর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাঁদের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ব র পর ব র র গ হবধ র র ল কজন ল হ গড় মরদ হ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর-শালনগর গ্রাম থেকে জান্নাতি খানম অন্তু (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৭টার দিকে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি চর-শালনগর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরে গৃহবধূর স্বামী সাজ্জাদ মোল্যাসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
নিহত জান্নাতি খানম অন্তু শালনগর ইউনিয়নের চর-শালগর গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে সাজ্জাদ মোল্যার স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মিটুল মোল্যার মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চর-শালনগর গ্রামের সাজ্জাদ মোল্যার সাথে রঘুনাথপুর গ্রামের জান্নাতি খানম অন্তুর বিয়ে হয়।
তবে এর আগে সাজ্জাদের বিয়ে হয়েছিল এবং তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয় যা গোপন করে সাজ্জাদ ও তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে শালনগর ইউনিয়নের শিয়েরবর মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ ও নদী পাড়ে মেলা দেখার উদেশ্যে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি চর-শালনগর থেকে বাবার বাড়ি রঘুনাথপুর আসেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সাজ্জাদ মোল্যা ও তার পরিবার নিহত অন্তুকে তার বাবার বাড়ি থেকে অটোভ্যানে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বেলা দেড়টার দিকে সাজ্জাদের ছোট ভাই অন্তুর ভাই সাব্বিরকে ফোন দিয়ে জানায় যে অন্তু স্ট্রোক করেছে আপনারা লোহাগড়া হাসপাতালে আসেন।
পরে অন্তুর পিতা মিটুল মোল্যা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে রাত ৭টার দিকে জামাই সাজ্জাদ মোল্যার বাড়িতে যান, সেখানে গিয়ে একটি ভ্যানের উপর অন্তুকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দিলে রাতেই লোহাগড়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়। নিহত অন্তুর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে লোহাগড়া থানায় নিহতের বাবা মিটুল মোল্যা জানান, অন্তুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাজ্জাদ ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত সাজ্জাদ মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে বলেন, “মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/শরিফুল/এস