বিসিবি পরিচালনা পর্ষদে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালকের একজন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী ইসফাক আহসান। কিন্তু গতকাল বিসিবির নির্বাচনের পর রাতেই সিদ্ধান্ত বদলায় এনএসসি। আওয়ামী লীগ–সংশ্লিষ্টতার কারণে ইসফাকের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, তাঁর জায়গায় করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলাকে আজ বিসিবির পরিচালকের পদে মনোনয়ন দিয়েছে এনএসসি।

রুবাবা দৌলা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকল বাংলাদেশ–নেপাল–ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।

রুবাবা দৌলা সম্পৃক্ত ছিলেন খেলাধুলার সঙ্গেও। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্যও ছিলেন রুবাবা দৌলা।

রুবাবা দৌলা গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও পরিচিত মুখ ছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল গ্রামীণফোন। ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনে ভূমিকা ছিল রুবাবারও।

বিসিবিতে রুবাবা দৌলা মহিলা উইংয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে মওদুদ আহমদের সমালোচনা নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মওদুদ আহমদ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে ইতিহাসচর্চা করতেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে মওদুদ আহমদের কিছুটা সমালোচনা বা বিতর্ক থাকতে পারে, তবে ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে তাঁর খুব বেশি সমালোচনা করার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত মওদুদ আহমদের লেখা ‘ডিমাইজ অব ডেমোক্রেসি: বাংলাদেশ অন দ্য ওয়ে টু এ ফেইলড স্টেট ২০০৯-২০১৯’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।

এটি মওদুদ আহমদের লেখা শেষ বই। ২০০৯-১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের তীব্র সমালোচনা করে বইটি লেখা হয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলের বর্ণনা দিয়ে বইটিতে নির্বাচনে কারচুপি, ভিন্নমতের দমন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

মওদুদ আহমদের লেখা ‘ডিমাইজ অব ডেমোক্রেসি: বাংলাদেশ অন দ্য ওয়ে টু এ ফেইলড স্টেট ২০০৯-২০১৯’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে মওদুদ আহমদের সমালোচনা নেই: মির্জা ফখরুল