যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট–দলীয় কংগ্রেস সদস্য ও সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস ১৭ বছর ধরে ‘জে স্ট্রিট’–এর সঙ্গে সৌজন্যমূলক বৈঠক করে আসছেন। জে স্ট্রিট হলো মধ্যবামপন্থী একটি লবিং গ্রুপ, যারা মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে সম্পর্ক তৈরির এই দীর্ঘ সময়ে হাকিম জেফ্রিস কখনোই নির্বাচনে এই গ্রুপটির আনুষ্ঠানিক সমর্থন চাননি। তিনি বরং যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের প্রভাবশালী সংগঠন ‘আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি’—এআইপিএসির (আইপ্যাক নামে বেশি পরিচিত) সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

আইপ্যাক হলো কট্টর ইসরায়েলপন্থী লবিষ্ট সংগঠন, যারা জেফ্রিসকে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে। অতীতে তাদের সমর্থিত আইনপ্রণেতাদের এমন কোনো গ্রুপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হতে নিরুৎসাহিত করা হতো, যারা ইসরায়েলের ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করে থাকে।

তবে গত মাস থেকে এই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করেছে। হাকিম জেফ্রিস প্রথমবারের মতো যখন জে স্ট্রিটের আনুষ্ঠানিক সমর্থন গ্রহণ করেন, তখন এই পরিবর্তন চোখে পড়েছে।

জেফ্রিসের এই সমর্থন গ্রহণ ‘জে স্ট্রিট’–এর জন্য একটি বড় সাফল্য ছিল। কারণ, তারা বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের তীব্র সমালোচক। ক্যাপিটল হিলে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত কর্মকাণ্ডের সমালোচক মূল ধারার কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।

জে স্ট্রিটের পক্ষ থেকে হাকিম জেফ্রিসকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি ক্যাপিটল হিলে তেমন কোনো সাড়া ফেলেনি। কারণ, এই গ্রুপটি এরই মধ্যে কংগ্রেসের অর্ধেকেরও বেশি ডেমোক্র্যাট সদস্য এবং কংগ্রেসের বাকি ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বকে সমর্থন করেছে।

হাকিম জেফ্রিস আইপ্যাকের সঙ্গে এতটাই ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত যে, রেডিও হোস্ট শার্লামেন থা গড সম্প্রতি তাঁকে উপহাস করে ‘আইপ্যাক শাকুর’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাই, এই ডেমোক্র্যাট নেতার এমন পদক্ষেপ কংগ্রেসে ইসরায়েল ও কয়েক দশক ধরে মার্কিন রাজনীতিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েলপন্থী গ্রুপটির ক্ষেত্রে যে বড় এক পরিবর্তন ঘটছে, সেটা মোটামুটি আঁচ করা যাচ্ছে।

জেফ্রিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতারক লোকটা শার্লাটন আসলে কী বলছেন, সেটা তিনি নিজেই জানেন না। সংগীত জগতের বড় নাম যেমন বার্ডম্যান, বিনি সিগেল, ফ্রেড্রো স্টার আর এনবিএ ইয়াংবয়  তারকারা তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’

গাজায় নির্বিচার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি সরকারের প্রতি যখন মার্কিন জনগণের সমর্থনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট ভোটারদের মধ্যে ইহুদি রাষ্ট্রটির প্রতি সমর্থন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে, তখন ক্যাপিটল হিলের কিছু ডেমোক্র্যাট নেতার কাছে আইপ্যাক ক্রমশ একটি ‘টক্সিক ব্র্যান্ডে’ পরিণত হচ্ছে।

এটি কংগ্রেসে ইসরায়েল নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রমাণ, যেখানে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বহু বছরের পুরোনো দ্বিদলীয় ঐক্যমত থেকে সরে আসছেন। এক সময় ক্যাপিটল হিলে (মার্কিন কংগ্রেস) ইহুদি রাষ্ট্রটিকে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়া হতো।

ওয়াশিংটনে আইপ্যাকের সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল আইপ য ক সমর থ ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার ফাইনালে সুপার ওভারে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’, পাকিস্তান শাহীনস চ‌্যাম্পিয়ন

উত্তেজনা, নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ, নখ কামড়ানো একেকটি মুহুর্ত, একেকটি বল। হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ার উপক্রম। পেণ্ডুলামের মতো ঝুলতে থাকা ফাইনাল ম‌্যাচে কখনো পাকিস্তান শাহীনসের মুখে হাসি। আবার কখনো হাসে বাংলাদেশ ‘এ’। সব সীমা অতিক্রম করে, চরম নাটকীয়তা শেষে ইতিহাসের পাতায় পাকিস্তান শাহীনস।

দোহায় এশিয়া কাপ রাইর্জিং স্টারসের ফাইনাল ম‌্যাচ। নির্ধারিত ২০ ওভারের ম‌্যাচে কেউ কাউকে হারাতে পারে না। ম‌্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে পাকিস্তান শাহীনস কাছে ম‌্যাচ হেরে শিরোপা হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। 

মূল ম‌্যাচে পাকিস্তান শাহীনস আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে ৯৬ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম‌্যাচ পাকিস্তান শাহীনসের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু দশম উইকেটে সাকলায়েন আহমেদ ও রিপন মণ্ডল সব এলোমেলো করে দেন। রুদ্ধশ্বাস ব‌্যাটিংয়ে ২৯ রানের জুটি গড়ে ম‌্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে। 

কিন্তু সুপার ওভারে প্রথমে সাকলায়েন ও পরে জিসান আলম আউট হলে বাংলাদেশ ৩ বলেই গুটিয়ে যায়। স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৬। পাকিস্তান সাদ মাসুদের বাউন্ডারিতে ২ বল আগেই জিতে নেয় সুপার ওভার। তাতে তৃতীয়বারের মতো নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতার শিরোপা। 

বিস্তারিত আসছে …

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ