আট দফার ইশতেহার দিল ছাত্রদল, শিক্ষা-গবেষণায় গুরুত্ব
Published: 8th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে আট দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী আইয়ুবুর রহমানের সঞ্চালনায় ইশতেহার পাঠ করেন ভিপি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ইশতেহারে আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল সর্বদা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকবে। আমরা নিয়মিত চাকসু নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারেও সোচ্চার থাকব।’
ইশতেহারে শিক্ষা ও গবেষণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল নির্বাচিত হলে অনলাইন স্টুডেন্ট পোর্টাল চালু করা হবে। এর মাধ্যমে ক্লাস রুটিন, ফলাফলের তথ্য জানাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এ ছাড়া ম্যাটল্যাব স্থাপন এবং গবেষণার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে আধুনিকায়ন করে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা, প্রতিটি হলে পাঠকক্ষ ও গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা এবং শহরের ২ নম্বর গেটে গ্রন্থাগারের শাখা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইশতেহারে বলা হয়, সেশনজট নিরসন, ওপেন ক্রেডিট ও ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে ‘লাঞ্চের পরে আসেন’ সংস্কৃতি দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ভাতা বৃদ্ধি, হলে সিট সংরক্ষণ, ব্রেইল বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
খাদ্য ও আবাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে বলা হয়, ক্যানটিন ও হলগুলোর খাবারের মান উন্নয়নে ভর্তুকি বাড়ানো হবে। নিয়মিত খাবারের মান যাচাই এবং সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ক্যাম্পাসে রূপান্তরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ‘একটি সিট ও একটি পড়ার টেবিল’ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ইশতেহারে। অব্যবহৃত ভবন সংস্কার করে সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানানো হয়।
নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিতকরণে সন্ত্রাস, দখলদারি ও ভয়ভীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার করা হয় ইশতেহারে। বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে। ক্যাম্পাসজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা এবং একটি নিবেদিত হেল্পলাইন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সাইবার বুলিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা সেল গঠন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিটি হলে ভর্তুকিতে স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন, নারী মেডিকেল অফিসার ও সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলর নিয়োগ এবং মেডিকেল সেন্টারে নারী কর্নার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেয়েদের হলে ফার্মেসি, সুপারশপ, জিমনেসিয়াম ও ইনডোর গেমিং স্পেস স্থাপন এবং মসজিদে নারীদের নামাজের স্থান নির্ধারণের উদ্যোগের কথাও জানানো হয়।
পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নে শাটল ট্রেনের বগি ও ট্রিপ বৃদ্ধি, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বগি সংযোজন, বিশেষ বাস সার্ভিস ও ই-কার চালুর পরিকল্পনা জানানো হয়। পাশাপাশি শাটল ট্রেন, বাস ও ই-কার ট্র্যাকিংয়ের জন্য একটি মুঠোফোন অ্যাপ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক পরিবহনের তথ্য জানতে পারেন।
স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মেডিকেল সেন্টারকে ১০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ব্লাড ব্যাংক স্থাপন, স্বাস্থ্যবিমা চালু এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসে ফার্মেসি স্থাপন, ফার্স্ট এইড বক্স রাখা এবং ‘জিরো প্লাস্টিক’ ক্যাম্পাস করার উদ্যোগের বাস্তবায়নের ঘোষণাও দেওয়া হয়।
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কার্যক্রমের প্রসারে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাসচর্চা এবং একটি গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা জানানো হয়। পাশাপাশি অন্তর্বিভাগ ও আন্তহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, আধুনিক সুইমিংপুল ও কেন্দ্রীয় জিমনেসিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অন-ক্যাম্পাস ঘণ্টাভিত্তিক চাকরির ব্যবস্থা, শিক্ষাঋণ, অ্যালামনাই বৃত্তি, জব ফেয়ার, স্টার্টআপ সহায়তা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষা শেখার জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব এবং বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয় ইশতেহারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাফায়েত হোসেনসহ প্যানেলের বাকি প্রার্থীরা। এ ছাড়া উপস্থিতি ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রদল। তাদের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে (জিএস) প্রার্থী হয়েছেন ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র ব যবস থ ব শ বব দ য য় ইশত হ র ছ ত রদল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কোন দিকে
প্রায় আট দশক আগে ব্রিটিশ শাসনের অবসানে জন্ম নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। এত দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা আজও এক কঠিন ও জরুরি কাজ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দুই দেশের জনগণ এখনো ঘৃণা, সন্দেহ ও সামরিক উন্মাদনায় বন্দী—যেন একে অপরের রক্ত দেখেই তারা আশ্বস্ত হতে চায়।
এ বছরের ১৪-১৫ আগস্টে যখন দুই দেশ স্বাধীনতা উদ্যাপন করেছে, তখনো মে মাসের সীমান্ত সংঘর্ষের তীব্রতা কাটেনি। দুই পাশ থেকেই ‘আমরাই জিতব’ ধরনের বিদ্রূপাত্মক স্লোগান উঠেছে। যদিও অনেকেই ঘৃণার এই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, তবু ভারত ও পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশই জানে না যে তাদের ইতিহাস এক ছিল এবং তাদের ভবিষ্যৎও আসলে একসঙ্গে গড়া যেতে পারে।
রাষ্ট্রীয় জাতীয়তাবাদের নতুন ঢেউয়ের মুখে আমি এখানে দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাব্য কিছু ভবিষ্যৎ চিত্র তুলে ধরতে চাই। শুধু ভারত ও পাকিস্তান মিলিয়েই এখানে প্রায় ১৭০ কোটি মানুষ বাস করে। যদি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালকেও ধরা হয়, তাহলে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২০০ কোটিতে।
আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান আরও বিপজ্জনক এক যুগে ঢুকে পড়েছে১১ মে ২০২৫সবচেয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ হচ্ছে—আমরা এখন যে অবস্থায় আছি, সেটাই আরও গভীরভাবে ও কঠিনভাবে টিকে থাকবে। হিন্দুত্ববাদ, উগ্র ইসলামবাদ আর বিদেশিবিদ্বেষী জাতীয়তাবাদের নানা রূপ তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি প্রভাবিত করবে।
ভারতের ক্ষেত্রে এর মানে হবে—বিজেপি, আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) প্রভাব সমাজে আরও শক্তিশালী হবে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তির একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এর মানে হবে—সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা আরও পোক্ত হবে, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো সেনাবাহিনীর ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, আর ধর্মীয় ডানপন্থী শক্তিগুলো রাস্তায় নেমে বড় আন্দোলন গড়ে তোলার সামর্থ্য অর্জন করবে। কিন্তু আমাদের এই বিপজ্জনক বাস্তবতাকে কখনোই স্থায়ী ধরে নেওয়া উচিত নয়।
ভারতে হিন্দিভাষী উত্তর ভারতের রাজনৈতিক প্রাধান্য ভাঙতে হবে। কাশ্মীরি, নাগা, আদিবাসী ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ওপর ঐতিহাসিক নিপীড়ন স্বীকার করতে হবে এবং দক্ষিণ ভারতের প্রগতিশীল নেতাদের জন্য আরও জায়গা তৈরি করতে হবে।দুই দেশেই রাষ্ট্রবিরোধী সহিংসতা আরও বাড়বে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চল বহুদিন ধরে নিপীড়নের শিকার, সেখানে এগুলো বাড়বে। ‘সন্ত্রাস দমন’-এর নামে রাষ্ট্র আরও ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করবে। এর ফলে ঘৃণা, ভয় ও বিভাজনের রাজনীতি সমাজের একমাত্র চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে। সেখানে শান্তি, সহাবস্থান কিংবা মানবিক সংলাপের কোনো জায়গা থাকবে না।
তবু এই ‘অধঃপতনের দৌড়’-এর গতি কিছু সময়ের জন্য থামাতে পারে যদি উদার বা মাঝারি ধারার রাজনীতি কিছুটা পুনরুজ্জীবিত হয়।
ভারতে এর অর্থ হতে পারে কংগ্রেস ও তার সহযোগী কয়েকটি ছোট দল ক্ষমতায় ফিরে এসে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের কিছু দিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। পাকিস্তানে এর মানে হতে পারে বর্তমান ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ (অর্থাৎ সেনা ও বেসামরিক প্রশাসনের মিশ্র রূপ) বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক গণ-আন্দোলন দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনট্রাম্পকে যে কৌশলে বশে আনলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান১২ ঘণ্টা আগেতবে এই উদার কেন্দ্রের সীমাবদ্ধতা গুরুতর। তারা প্রচলিত উন্নয়ন মডেল—যা জমি কেড়ে নেওয়া, পরিবেশ ধ্বংস ও অন্ধ ভোগবাদে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে—তার কোনো বিকল্প অর্থনৈতিক কর্মসূচি দিতে চায় না। ফলে এই মধ্যপন্থী প্রতিরোধও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবে। এর ফলে প্রতিক্রিয়াশীল, সামরিকবাদী ও অতি-ডানপন্থী শক্তিগুলো আরও গভীরভাবে রাষ্ট্রের ভেতরে শিকড় গাড়বে।
সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত কিন্তু একমাত্র টেকসই ভবিষ্যৎ হতে পারে—জনগণনির্ভর ঐক্যের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি ও যৌথ সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা। এটা তখনই সম্ভব, যখন শ্রমজীবী মানুষ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী প্রগতিশীল শক্তিগুলো একসঙ্গে আসবে। কাজটি সহজ নয়, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার বাম ও প্রগতিশীল রাজনীতি এখন প্রায় নিস্তেজ অবস্থায় আছে। তবু আমাদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। স্থবির বাস্তবতার কাছে আত্মসমর্পণ না করে নতুন রাজনীতির স্বপ্ন দেখতে হবে।
আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন খেলা০৬ আগস্ট ২০২৫এই নতুন রাজনীতির জন্য বামপন্থী ঐতিহ্যবাহী শক্তিগুলোর (যারা শ্রেণিসংগ্রাম ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনীতি করে) দরকার জাতিগত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা গড়ে তোলা। না হলে এমন কোনো ঐক্যবদ্ধ শক্তি তৈরি হবে না, যা অতি ডানপন্থা ও উদার কেন্দ্র—দুয়েরই আধিপত্য ভাঙতে পারে।
ভারতে হিন্দিভাষী উত্তর ভারতের রাজনৈতিক প্রাধান্য ভাঙতে হবে। কাশ্মীরি, নাগা, আদিবাসী ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ওপর ঐতিহাসিক নিপীড়ন স্বীকার করতে হবে এবং দক্ষিণ ভারতের প্রগতিশীল নেতাদের জন্য আরও জায়গা তৈরি করতে হবে।
পাকিস্তানে বালুচ, পশতুন, গিলগিট-বালটিস্তানি, কাশ্মীরি, সিন্ধি ও সিরাইকি জনগণের জাতীয় প্রশ্নগুলোকে শ্রেণিনির্ভর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুনভারত হামলা চালিয়ে যেভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বাড়িয়ে দিল২০ মে ২০২৫সবশেষে দরকার একটি আঞ্চলিক মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে সাধারণ মানুষের স্বার্থ—লাদাখ থেকে বালটিস্তান, দুই কাশ্মীর থেকে সিন্ধু ও রাজস্থান, দুই পাঞ্জাব থেকে ডুরান্ড রেখার দুই পাশের পশতুন, এমনকি সবচেয়ে নিপীড়িত বালুচ ও নাগাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন হিসেবে দেখা হবে।
শুধু এই মানবিক ঐক্যই পারে সাম্রাজ্যবাদের সব রূপকে ইতিহাসের আবর্জনার ঝুড়িতে ছুড়ে ফেলতে।
আসিম সাজ্জাদ আখতার কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
ডন থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত