যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার কয়েক দিন ধরে শাটডাউনের (অচলাবস্থা) মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যেসব ফেডারেল কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, শাটডাউন শেষে তাঁরা এ সময়ের বকেয়া বেতন হয়তো পাবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

অনেক আইনপ্রণেতা এ ব্যবস্থাকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ছুটিতে পাঠানো কর্মীদের বকেয়া বেতন বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট অফিস (ওএমবি) থেকে পাঠানো এক স্মারকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে যে আইন করে শাটডাউন শেষে বকেয়া বেতন প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, তা ওই সব কর্মীর বেলায় প্রযোজ্য নয়, যাঁদের সাময়িকভাবে কাজে না যেতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন চলছে, পঞ্চম দফায়ও বিল পাসে ব্যর্থ সিনেট০৭ অক্টোবর ২০২৫

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোন কর্মীদের নিয়ে কথা বলছি, তার ওপর নির্ভর করছে কাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। কিছু কর্মী আছেন, যাঁরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।’

সরকারি ব্যয়সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে পড়ে যায়। তার পর থেকে কয়েক দফায় বিল পাসের চেষ্টা করা হলেও এখনো সফলতা মেলেনি।

ফলে কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার ফেডারেল কর্মীকে বিনা বেতনে কাজ করতে হচ্ছে। শাটডাউনের সময় কিছু কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত শাটডাউন শেষ হলে ছুটিতে পাঠানো কর্মীদেরও বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু এখন ছুটিতে পাঠানো কর্মীদের বকেয়া বেতন দেওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনের কবলে, ট্রাম্পের হুমকিতেও কাজ হলো না০১ অক্টোবর ২০২৫আমরা কোন কর্মীদের নিয়ে কথা বলছি, তার ওপর নির্ভর করছে কাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। কিছু কর্মী আছেন, যাঁরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

গতকাল জেফ্রিস বলেন, আইনে একেবারে স্পষ্ট করে বলা আছে যে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো প্রত্যেক ফেডারেল কর্মী অবশ্যই বকেয়া বেতন পাওয়ার অধিকারী, এটাই শেষ কথা।

বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে ওএমবি গত সপ্তাহেই স্মারকটি তৈরি করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে গতকাল প্রথম এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

ওএমবির স্মারকে বলা হয়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো যাঁদের জরুরি কর্মী ধরা হয়েছে, যাঁদের কাজে আসা বাধ্যতামূলক, শাটডাউন শেষ হলে সরকার কেবল তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।

স্মারকে আরও বলা হয়, তবে যাঁদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে সরকার বাধ্য নয়, মূলত তাঁদের বিনা বেতনে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনশাটডাউন আলোচনা ব্যর্থ হলে সরকারি কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের০৬ অক্টোবর ২০২৫এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো যাঁদের জরুরি কর্মী ধরা হয়েছে, যাঁদের কাজে আসা বাধ্যতামূলক, শাটডাউন শেষ হলে সরকার কেবল তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।

অথচ ২০১৯ সালে কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা একটি আইনে বলা আছে, সরকারি তহবিলের অভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অথবা ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার সরকারি কর্মীদের মধ্যে যাঁদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয় বা যাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হন, তাঁদের সবাইকে সে সময়ের বকেয়া বেতন দিতে হবে। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে এ আইন কার্যকর হয়।

রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি এখনো হোয়াইট হাউসের সঙ্গে বকেয়া বেতন নিয়ে কথা বলেননি।

আইনে একেবারে স্পষ্ট করে বলা আছে যে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো প্রত্যেক ফেডারেল কর্মী অবশ্যই বকেয়া বেতন পাওয়ার অধিকারী, এটাই শেষ কথা।হাকিম জেফ্রিস, প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট

জনসন আরও বলেন, এটা সত্যিই যে আগের শাটডাউনের সময় অনেককে বা বেশির ভাগ কর্মীকে তাঁদের সাময়িক ছুটির সময়ের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এখন কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটা হয়তো ঠিক নয় বা এর প্রয়োজন নেই।

আইনবিশেষজ্ঞদের এই বিশ্লেষণ যদি সঠিক প্রমাণিত হয়, তবে সরকারের অচলাবস্থার অবসানে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপের সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুনকংগ্রেসে অর্থ বিল নাকচ, সংকটে ট্রাম্প প্রশাসন০১ অক্টোবর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ক ক ন দ র য় সরক র ফ ড র ল কর ম কর ম দ র দ র বক য় স ম রক কর ম ক

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনে ছুটিতে যাওয়া ফেডারেল কর্মীরা কি বকেয়া বেতন পাবেন, কী বলছে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার কয়েক দিন ধরে শাটডাউনের (অচলাবস্থা) মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যেসব ফেডারেল কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, শাটডাউন শেষে তাঁরা এ সময়ের বকেয়া বেতন হয়তো পাবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

অনেক আইনপ্রণেতা এ ব্যবস্থাকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ছুটিতে পাঠানো কর্মীদের বকেয়া বেতন বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট অফিস (ওএমবি) থেকে পাঠানো এক স্মারকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে যে আইন করে শাটডাউন শেষে বকেয়া বেতন প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, তা ওই সব কর্মীর বেলায় প্রযোজ্য নয়, যাঁদের সাময়িকভাবে কাজে না যেতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন চলছে, পঞ্চম দফায়ও বিল পাসে ব্যর্থ সিনেট০৭ অক্টোবর ২০২৫

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোন কর্মীদের নিয়ে কথা বলছি, তার ওপর নির্ভর করছে কাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। কিছু কর্মী আছেন, যাঁরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।’

সরকারি ব্যয়সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনে পড়ে যায়। তার পর থেকে কয়েক দফায় বিল পাসের চেষ্টা করা হলেও এখনো সফলতা মেলেনি।

ফলে কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার ফেডারেল কর্মীকে বিনা বেতনে কাজ করতে হচ্ছে। শাটডাউনের সময় কিছু কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত শাটডাউন শেষ হলে ছুটিতে পাঠানো কর্মীদেরও বকেয়া বেতন দিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু এখন ছুটিতে পাঠানো কর্মীদের বকেয়া বেতন দেওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন যে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাটডাউনের কবলে, ট্রাম্পের হুমকিতেও কাজ হলো না০১ অক্টোবর ২০২৫আমরা কোন কর্মীদের নিয়ে কথা বলছি, তার ওপর নির্ভর করছে কাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। কিছু কর্মী আছেন, যাঁরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

গতকাল জেফ্রিস বলেন, আইনে একেবারে স্পষ্ট করে বলা আছে যে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো প্রত্যেক ফেডারেল কর্মী অবশ্যই বকেয়া বেতন পাওয়ার অধিকারী, এটাই শেষ কথা।

বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে ওএমবি গত সপ্তাহেই স্মারকটি তৈরি করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে গতকাল প্রথম এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

ওএমবির স্মারকে বলা হয়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো যাঁদের জরুরি কর্মী ধরা হয়েছে, যাঁদের কাজে আসা বাধ্যতামূলক, শাটডাউন শেষ হলে সরকার কেবল তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।

স্মারকে আরও বলা হয়, তবে যাঁদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে সরকার বাধ্য নয়, মূলত তাঁদের বিনা বেতনে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনশাটডাউন আলোচনা ব্যর্থ হলে সরকারি কর্মীদের গণহারে ছাঁটাইয়ের হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের০৬ অক্টোবর ২০২৫এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মতো যাঁদের জরুরি কর্মী ধরা হয়েছে, যাঁদের কাজে আসা বাধ্যতামূলক, শাটডাউন শেষ হলে সরকার কেবল তাঁদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য থাকে।

অথচ ২০১৯ সালে কংগ্রেসে পাস হওয়া এবং প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা একটি আইনে বলা আছে, সরকারি তহবিলের অভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অথবা ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার সরকারি কর্মীদের মধ্যে যাঁদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয় বা যাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হন, তাঁদের সবাইকে সে সময়ের বকেয়া বেতন দিতে হবে। ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে এ আইন কার্যকর হয়।

রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি এখনো হোয়াইট হাউসের সঙ্গে বকেয়া বেতন নিয়ে কথা বলেননি।

আইনে একেবারে স্পষ্ট করে বলা আছে যে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো প্রত্যেক ফেডারেল কর্মী অবশ্যই বকেয়া বেতন পাওয়ার অধিকারী, এটাই শেষ কথা।হাকিম জেফ্রিস, প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট

জনসন আরও বলেন, এটা সত্যিই যে আগের শাটডাউনের সময় অনেককে বা বেশির ভাগ কর্মীকে তাঁদের সাময়িক ছুটির সময়ের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এখন কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটা হয়তো ঠিক নয় বা এর প্রয়োজন নেই।

আইনবিশেষজ্ঞদের এই বিশ্লেষণ যদি সঠিক প্রমাণিত হয়, তবে সরকারের অচলাবস্থার অবসানে ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপের সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুনকংগ্রেসে অর্থ বিল নাকচ, সংকটে ট্রাম্প প্রশাসন০১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ