বেরোবির সমাবর্তনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাখায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
Published: 8th, October 2025 GMT
প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
আরো পড়ুন:
বেরোবির সঙ্গে আলফা টেক ও প্রিমিয়াম ফ্রুটস এর সমঝোতা
প্রথমবারের মতো সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে বেরোবি
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সমাবর্তনের মতো একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাজ কি? তারা চায় এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তত শিক্ষা উপদেষ্টাকে সভাপতি হিসেবে। অথচ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। যা আমাদের জন্য হতাশার। তারা জীবনের প্রথম সমাবর্তন বয়কটের ডাক দিতে পারেন বলেও জানা গেছে।
এছাড়া, সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশনের সম্ভাব্য ফ্রি নিয়েও বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শিপন তালুকদার বলেন, “১৭ বছরের অপেক্ষার পর প্রথম সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছিলাম রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টা আমাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এমন একজনকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে যিনি বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন।”
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলিমুজ্জামান আলিফ বলেন, “এটা আমাদের প্রতি অবমূল্যায়ন। প্রথম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বাড়াত। কিন্তু এখন বিষয়টি অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র মনে হচ্ছে।”
সমাবর্তন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথমে প্রধান উপদেষ্টাকে সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসেবে চেয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা একবার এই বিশ্ববিদ্যালয় এসেছে তার জন্য তিনি আসবেন না। পরে রাষ্ট্রপতি আইন উপদেষ্টাকে মনোনীত করেন। আইন উপদেষ্টাও এ বিশ্ববিদ্যালয় একবার এসেছেন বলে তিনিও আর আসতে চান না।”
তিনি বলেন, “পরে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ চেঞ্জ করে নতুন করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঠিক করা হয়েছে। এর জন্যই আমাদের এই সমাবর্তন নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে পরিবর্তন করতে হয়েছে। যদি আবার চেঞ্জ করতে হয় তাহলে সমাবর্তন কবে হবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ থেকে ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ১২তম ব্যাচের যেসব শিক্ষার্থীরা অনার্স অথবা অনার্স-মাস্টার্স উভয়ই সম্পন্ন হয়েছে, তারা রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতে পারবেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট র ষ ট রপত উপদ ষ ট ক অন ষ ঠ ন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবার আমিরাতের তরুণী
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন এক তরুণী। ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম মরিয়ম মোহাম্মদ। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে কয়েক শ আবেদনকারীর মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স ইউএই-২০২৫ নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
মরিয়ম মোহাম্মদ ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাকে বড় স্বপ্ন দেখার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সেসব নারীর কণ্ঠস্বর হতে চাই, যাঁরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কৌতূহলী। মিস ইউনিভার্স ইউএই শুধু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়, অনেক কিছুর ওপর এর প্রভাব রয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন মরিয়ম। বর্তমানে ইএসএমওডি দুবাই-এ ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনা করছেন। তিনি পড়াশোনা, শিল্প ও সামাজিক সচেতনতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেছেন। তাঁর লক্ষ্য দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
আমিরাতের এই তরুণী টেকসই ফ্যাশনের নকশা করেছেন। তিনি রামাদান আমান ও দ্য গিভিং ফ্যামিলি ইনিশিয়েটিভের মতো দাতব্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা কর্মসূচিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
মরিয়মের আগ্রহে ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের দারুণ সমন্বয় ফুটে উঠেছে। বাজ পাখি শিকার ও উট চালানো থেকে শুরু করে টেকসই ফ্যাশন ও বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তিনি সৌন্দর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে আরব আমিরাতের মূল্যবোধকে ধারণ ও প্রতিনিধিত্ব করছেন।
মরিয়মের প্রত্যাশা, তিনি আমিরাতের নতুন প্রজন্মের নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হবেন। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতায়ন, টেকসই এবং উদ্ভাবনের গল্পকে বিশ্বব্যাপী দর্শকের সামনে তুলে ধরবেন বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।
মিস ইউনিভার্স ইউএইর জাতীয় পরিচালক পপি ক্যাপেলা প্রতিযোগিতায় মরিয়ম বিজয়ী হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘মরিয়ম শুধু তাঁর কথাবার্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয়, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য, ক্ষমতায়ন এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষমতার মাধ্যমে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছেন।’