কন্যাশিশুর নিরাপত্তায় সমাজকেও কাজ করতে হবে
Published: 8th, October 2025 GMT
দেশে নারী ও কন্যাশিশুরা নানাভাবে বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হয়। এসবের অবসান হওয়া দরকার। কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজকেও কাজ করতে হবে। মেয়েরা সুযোগ পেলে শিক্ষিত, যোগ্য ও উপার্জনক্ষম হতে পারে।
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন বক্তারা। রাজধানীতে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ছিল। আজ দিবস উদ্যাপনের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল গেট (দোয়েল চত্বর–সংলগ্ন) থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। শিশু একাডেমি পর্যন্ত গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজকে কাজ করতে হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হওয়া উচিত মেয়েদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ জন্য মন্ত্রণালয় একটা কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কন্যাশিশুদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মীদের তৃণমূল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে শিশুরা কোনো বিপদে পড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা তাদের সহায়তা করতে পারে। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন বাংলাদেশ হবে শিশুদের জন্য। আমি মনে করি, যখন মেয়েরা, আমাদের শিশুরা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, তখন পুরো রাষ্ট্র মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।’
জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদ্যাপনের কার্যক্রম শুরু হয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া। এর সঙ্গে রয়েছে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরোনো সমস্যা। ফলে পরিস্থিতি এমন—একটি রোগের চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে ‘অত্যন্ত সংকটময়’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির নেতারা বলছেন, গত দুই দিনে তাঁর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্ভব হলে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করে গতকাল শুক্রবার সারা দেশে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করেছে বিএনপি।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত রোববার। সেদিন তাঁর অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি
হলে দুই দিন আগে তাঁকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার নেতিবাচক খবরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছেন। জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আছেন।
খালেদা জিয়াকে দেখতে গতকাল বিকেলে হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁরা সিসিইউর ভেতরে যাননি। বাইরে থেকে দেখে এসেছেন। পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা দূর থেকে দেখেছি। ইনফেকশনের ঝুঁকি আছে, তাই সিসিইউতে যাওয়া যায় না। আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ম্যাডামের অবস্থার উন্নতি নেই। মেডিকেল বোর্ড চেষ্টা করছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আসছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালের সামনে তাঁদের একটি দল