ওয়ান-ইফরায় দুই বিভাগে বিশ্বসেরা প্রথম আলো
Published: 8th, October 2025 GMT
ওয়ান-ইফরার বৈশ্বিক মঞ্চে প্রথম আলো এবার দুটি বিভাগে বিশ্বের সেরার স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশের ৩ হাজার সংবাদ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তার প্রধান সংস্থা ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজ পাবলিশার্সের (ওয়ান-ইফরা) আন্তর্জাতিক বার্ষিক সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স সামিটে’ বাংলাদেশের একমাত্র সংবাদমাধ্যম হিসেবে এই স্বীকৃতি পেল প্রথম আলো।
এই আয়োজনের মূল অংশ ‘সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড প্রিন্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’–এ এই বছর সারা বিশ্বে মাত্র তিনটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে প্রথমবারেই সর্বোচ্চ দুটি বিভাগে সেরার পুরস্কার লাভ করেছে প্রথম আলো।
বছরব্যাপী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ক্রোড়পত্রে বিজ্ঞাপনের নানামুখী সৃজনশীল কৌশল ও উদ্যোগের জন্য ‘প্রিন্ট অ্যাডভার্টাইজিং ক্রিয়েটিভিটি’ বিভাগে এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সাহসী সাংবাদিকতা ও বছরব্যাপী এ–সংক্রান্ত নানামুখী উদ্যোগে তরুণ পাঠকদের যুক্ততার জন্য ‘নেক্সট জেন রিডার এনগেজমেন্ট’—এই দুই বিভাগে প্রথম আলো সেরার পুরস্কার পেয়েছে। অন্য আরেকটি বিভাগ ‘ফিউশন অব প্রিন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল’–এ যৌথভাবে সেরার পুরস্কার পেয়েছে আয়ারল্যান্ডের দ্য আইরিশ মেইল ও মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইট টাইমস।
জার্মানির মিউনিখ শহরের ডিজাইন অফিসেস মিউনিখ অ্যাটলাস ভেন্যুতে আজ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টা) এ পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। পুরস্কার গ্রহণের পর তিনি বলেন, প্রথম আলো বছরব্যাপী জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ক্রোড়পত্র প্রকাশের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকতা, কর্মকৌশল ও সৃজনশীল উপস্থাপনায় এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম আলোর সাহসী সাংবাদিকতা ও পরবর্তী সময়ে গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত প্রথম আলোর নানামুখী উদ্যোগ ছিল অনন্য। এসব কাজেরই স্বীকৃতি হলো বৈশ্বিক মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক অর্জন। এ অর্জনের মূল কৃতিত্ব প্রথম আলোর সব সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ীসহ সর্বোপরি সব পাঠকের।
বিশ্বব্যাপী ওয়ান-ইফরার সদস্য, সংবাদপত্র, সাময়িকী, প্রকাশক, বিজ্ঞাপনদাতা ও বিজ্ঞাপন সংস্থাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা থেকে সেরাদের বেছে নেওয়া হয়। বৈশ্বিক এই মর্যাদাপূর্ণ আসরে এর আগে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে কলম্বিয়ার এল তিয়েম্পো, ভারতের দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, দৈনিক ভাস্কর ও আনন্দবাজার পত্রিকা, জার্মানির প্রেসে-ড্রুক উন্ড ফেরলাগস জিএমবিএইচ, সিউডকুরিয়ার জিএমবিএইচ ও ভিআরএম জিএমবিএইচ, স্পেনের দিওয়ারি আরা, ডেনমার্কের জে.
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ান-ইফরার প্রধান কার্যালয় জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও ফ্রান্সের প্যারিসে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সংগঠন, যা তিন হাজার সংবাদ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। এ ছাড়া ৪০টি সদস্য প্রকাশক সমিতির মাধ্যমে এটি ১২০টি দেশের ১৮ হাজার প্রকাশনার প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৮ সাল থেকে ওয়ান-ইফরা ‘ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স ফোরাম’–এর মাধ্যমে গণমাধ্যমে উদ্ভাবন, পাঠক সম্পৃক্ততা এবং প্রকাশনায় টেকসই উৎকর্ষের জন্য আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে।
এ আয়োজন সম্পর্কে ওয়ান-ইফরার সিইও ভিনসেন্ট পেরেজনে বলেন, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড প্রিন্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস দেখিয়েছে বর্তমানের দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং প্রায়ই চ্যালেঞ্জিং সংবাদজগতে সংবাদমাধ্যম কোম্পানিগুলো কীভাবে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ান-ইফরার ওয়ার্ল্ড প্রিন্টারস ফোরামের পরিচালক ইঙ্গি রাফন ওলাফসন ও অ্যাওয়ার্ডের প্রধান জুরি গুন্ডুলা উল্লাহ।
ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজ পাবলিশার্সের (ওয়ান-ইফরা) বার্ষিক সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড প্রিন্টার্স সামিটে’ দুই বিভাগে সেরার পুরস্কার গ্রহণের পর কথা বলছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। আজ বুধবার জার্মানির মিউনিখ শহরেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স র র প রস ক র প রথম আল প রক শ গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার ফাইনালে সুপার ওভারে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’, পাকিস্তান শাহীনস চ্যাম্পিয়ন
উত্তেজনা, নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ, নখ কামড়ানো একেকটি মুহুর্ত, একেকটি বল। হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়ার উপক্রম। পেণ্ডুলামের মতো ঝুলতে থাকা ফাইনাল ম্যাচে কখনো পাকিস্তান শাহীনসের মুখে হাসি। আবার কখনো হাসে বাংলাদেশ ‘এ’। সব সীমা অতিক্রম করে, চরম নাটকীয়তা শেষে ইতিহাসের পাতায় পাকিস্তান শাহীনস।
দোহায় এশিয়া কাপ রাইর্জিং স্টারসের ফাইনাল ম্যাচ। নির্ধারিত ২০ ওভারের ম্যাচে কেউ কাউকে হারাতে পারে না। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে পাকিস্তান শাহীনস কাছে ম্যাচ হেরে শিরোপা হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
মূল ম্যাচে পাকিস্তান শাহীনস আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে ৯৬ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম্যাচ পাকিস্তান শাহীনসের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু দশম উইকেটে সাকলায়েন আহমেদ ও রিপন মণ্ডল সব এলোমেলো করে দেন। রুদ্ধশ্বাস ব্যাটিংয়ে ২৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ নিয়ে যান সুপার ওভারে।
কিন্তু সুপার ওভারে প্রথমে সাকলায়েন ও পরে জিসান আলম আউট হলে বাংলাদেশ ৩ বলেই গুটিয়ে যায়। স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৬। পাকিস্তান সাদ মাসুদের বাউন্ডারিতে ২ বল আগেই জিতে নেয় সুপার ওভার। তাতে তৃতীয়বারের মতো নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতার শিরোপা।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন