অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা ছেড়ে দাও, আমাদের হয়ে বিভিন্ন টি–টোয়েন্টি লিগে খেলো, বিনিময়ে পাবে ১ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার—প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে এমনই লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলের আইপিএল ছাড়াও আরও কয়েকটি লিগে দল আছে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স ও তারকা ব্যাটসম্যান হেড প্রস্তাবটি গ্রহণ করেননি। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

কামিন্স ও হেডের লোভনীয় প্রস্তাব গ্রহণ না করার বিষয়টি উঠে এসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) বেসরকারীকরণ নিয়ে এক আলোচনার সময়। বর্তমানে বিগ ব্যাশের মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে আছে সিএ এবং অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো। বিপরীতে আইপিএল, পিএসএল, বিপিএলসহ অন্যান্য টি–টোয়েন্টি লিগের মালিকানা কোনো ব্যক্তি, ব্যবসায়িক গোষ্ঠী বা বিনিয়োগকারীদের হাতে।

সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও খেলোয়াড়দের ইউনিয়নের মধ্যে বিগ ব্যাশ লিগকে বেসরকারীকরণের আলোচনা চলছে। তেমনই এক আলোচনায় উদাহরণ হিসেবে কামিন্স ও হেডের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।

আরও পড়ুনহেড এলেন, পেটালেন এবং চলে গেলেন২৯ জানুয়ারি ২০২৫

অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠা এই দুই ক্রিকেটারকে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ১ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়ে সারা বছরের জন্য তাঁদের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ভারতের মুদ্রায় ৫৮ কোটি রুপির বেশি। বর্তমানে কামিন্স ও হেড আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ২০২৫ সালে কামিন্স ১৮ কোটি, হেড ১৪ কোটি রুপি পেয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে বছরে ১৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ৮.

৭৪ কোটি রুপির মতো পেয়ে থাকেন। টেস্ট অধিনায়ক কামিন্স পেয়ে থাকেন বছরে ৩০ লাখ বা ১৭.৪৮ কোটি রুপির মতো। অর্থ্যাৎ, আইপিএল ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি মিলিয়ে তিনি যা পান, নাম প্রকাশ না করা সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রস্তাবে রাজি হলে বছরে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ পাবেন।

আইপিএলের বেশির ভাগ দলেরই ভারতের বাইরেও দল আছে। যেমন সানরাইজার্সের মালিকানা আছে দ্য হান্ড্রেডের নর্দার্ন সুপারচার্জার্স ও এসএ২০–এর সানরাইজার্স ইস্টার্ন ক্যাপেতে। বিভিন্ন লিগে দল আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকপক্ষের।

আরও পড়ুনআইসিসি টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া কীভাবে এত শিরোপা জেতে? রহস্য ভাঙলেন কামিন্স২৫ মে ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব র প রস

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি বিএনপি নেতার

চাল বিতরণে অনিয়ম করায় ডিলারশিপ বাতিল হয়েছে শরীয়তপুরের এক বিএনপি নেতার। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ডিলারশিপের মালিক নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর। 

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রকাশিত সংবাদ সরিয়ে না নিলে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা বা অন্যত্র যত রাজনৈতিক মামলা হবে, সব মামলায় আসামি করা হবে সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়কে। 

বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়।

ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান হৃদয় জানান, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি তিনি। গত ৭ অক্টোবর বার্তা বাজার পত্রিকায় ‘চাউল বিতরণে অনিয়ম বিএনপি নেতার রোষাণলে ইউএনও’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বিএনপি নেতা সাগর ও সাগর ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সরকারি চাউল বিতরণের অনিয়মের খবর প্রকাশ হয়। 

এর জের ধরে গত ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় একটি মোবাইল নম্বর থেকে আশিকুর রহমান হৃদয়কে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার হুমকি প্রদান করেন। 

এছাড়াও সাংবাদিক হৃদয়কে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেইসবুক) আমার বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করার হুমকি প্রদান করেন সাগর। 

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চাল বিতরণে অনিয়ম করায় ডিলারশিপ বাতিল হওয়া মতিউর রহমান সাগরের হুমকিতে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক আশিকুর রহমান হৃদয়। 

বিষয়টি নিয়ে আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, “মতিউর রহমান সাগরের প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি থানায় জিডি করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।”

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, “আমি সাংবাদিক হিসেবে কাউকে কোন হুমকি দেইনি। গালিগালাজও করিনি। আশিকুর রহমান যাত্রাবাড়ীতে ছাত্রলীগ করতো। সে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা লেখালেখি করছে। তাই তাকে ফোন করে এসব না করার জন্য বলেছি। সে কোন সাংবাদিক নয়, সে ছাত্রলীগ নেতা।”

সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, “এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, “মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। পরে খাদ্য অধিদপ্তর হতে তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। এসব ঘটনা নিয়ে তিনি আমার উপরে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এরইমধ্যে জানতে পেরেছি তিনি আমার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের একটি অভিযোগ করেছেন। যদি বিভাগীয় কমিশনার স্যারের কাছে এ অভিযোগ করা হয়, তাহলে তারা তদন্ত করে দেখবেন। আশা করি আপনারাও তখন জানতে পারবেন।”

ঢাকা/আকাশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ