ইমারসিভ ও ইন্টারঅ্যাকটিভ সিনেমা: দর্শক যেখানে গল্পের নিয়ন্ত্রক
Published: 9th, October 2025 GMT
এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ব চলচ্চিত্র ‘লিনিয়ার ন্যারেটিভ’ বা ‘সরলরেখায় এগোনো’ গল্প বলার ওপর নির্ভরশীল ছিল। নন-লিনিয়ার গল্পের সংখ্যাও হাজার হাজার। লিনিয়ার চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সাধারণত দর্শক বসে থাকেন। পর্দায় যা ঘটে, তিনি তা গ্রহণ করবেন, এটাই ছিল প্রচলিত ব্যাকরণ। কিন্তু প্রযুক্তির উত্থান, বিশেষত ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেন্টেডরিয়েলিটি (এআর), এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এক্সআর) ও ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম সিনেমার ভাষাকে আমূল বদলে দিয়েছে। এখন দর্শক শুধু দেখছেন না, বরং গল্পের ভেতরে ঢুকে পড়ছেন, এমনকি ঘটনাপ্রবাহেও অংশ নিচ্ছেন। চলচ্চিত্রের এই নতুন ব্যাকরণের নাম ইমারসিভ ও ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরিটেলিং। ইমারসিভ স্টোরিটেলিং ও ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরিটেলিং দুটি শব্দ দেখতে কাছাকাছি হলেও অভিজ্ঞতার দিক থেকে এরা একেবারেই ভিন্ন।
ইমারসিভ স্টোরিটেলিং দর্শককে এমনভাবে ভেতরে টেনে নেয় যে তিনি অনুভব করেন ঘটনাটি যেন তাঁর চোখের সামনেই ঘটছে। এখানে দর্শকের কাজ মূলত অভিজ্ঞতাকে গভীরভাবে গ্রহণকরা। উদাহরণস্বরূপ, ৩৬০°ভিডিও প্রযুক্তি কিংবা ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেট দর্শককে গল্পের কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রজেকশন ম্যাপিংও একইভাবে বাস্তব স্থানকে গল্পের অংশে পরিণত করে। এ ক্ষেত্রে দর্শক যদিও কাহিনির গতিপথ বদলাতে পারেন না, তবে তিনি ঘটনাস্থলের ভেতরে শারীরিকভাবে উপস্থিত হওয়ার এক বিভ্রম পান। বলা যায়, ইমারসিভ স্টোরিটেলিং হলো ‘ডুবে যাওয়ার অভিজ্ঞতা’, যেখানে আমরা বাইরের জগৎ ভুলে গিয়ে এক নতুন বাস্তবতায় প্রবেশ করি।
প্রযুক্তির উত্থান, বিশেষত ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেন্টেডরিয়েলিটি (এআর), এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এক্সআর) ও ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম সিনেমার ভাষাকে আমূল বদলে দিয়েছে।অন্যদিকে, ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরিটেলিং কেবল অভিজ্ঞতার ভেতর দর্শককে ফেলে রাখে না, বরং তাঁকে সক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও দেন। এখানে দর্শক নিজেই নির্ধারণ করতে পারেন গল্পের মোড় কোথায় ঘুরবে, কোন চরিত্র বাঁচবে আর কোন চরিত্র মারা যাবে। এককথায়, তিনি হয়ে ওঠেন কাহিনির সহলেখক। নেটফ্লিক্সের আলোচিত চলচ্চিত্র ’ব্ল্যাক মিরর: ব্যানডারস্ন্যাচ’ তার এক দৃষ্টান্ত। এই চলচ্চিত্রে দর্শককে বিভিন্ন বিকল্প দেওয়া হয়। যেমন নায়ক কি নির্দিষ্ট ওষুধ খাবে, নাকি খাবে না? প্রতিটি সিদ্ধান্ত গল্পকে এক নতুন পথে নিয়ে যায়, ফলে দর্শক প্রতিবার ভিন্ন অভিজ্ঞতা পান।
এখানে মৌলিক পার্থক্য হলো: ইমারসিভ স্টোরিটেলিং অভিজ্ঞতার গভীরতায় জোর দেয়, আর ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরিটেলিং নিয়ন্ত্রণ ও বিকল্পের সুযোগ দেয়। একটিতে দর্শক পুরোপুরি ঘটনার ভেতর ডুবে থাকেন, অন্যটিতে তিনি সক্রিয়ভাবে কাহিনি নির্মাণে অংশ নেন।
জাতিসংঘের ভিআর ডকুমেন্টারি ‘ক্লাউডস ওভার সিদ্রা’ (২০১৫).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র গল প র র ভ তর
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি: ইসরায়েল-হামাসের সম্মতি নিয়ে বিশ্বনেতারা কে কী বললেন
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে ইসরায়েল ও হামাস সম্মত হয়েছে—মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দেশের নেতারা শান্তির আশা ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি উভয় পক্ষকে এ–বিষয়ক অঙ্গীকারগুলো পূরণের আহ্বান জানিয়েছেন। দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধে এই অগ্রগতি অনেকের কাছে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দুই পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস কয়েক দিনের মধ্যে তাদের কাছে থাকা জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের ছেড়ে দেবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা গাজার অধিকাংশ এলাকা থেকে সরে যাওয়া শুরু করবেন।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘এর মানে হলো, খুব শিগগির সব জিম্মি মুক্তি পাবেন, আর ইসরায়েল তাদের সেনাদের এক সমঝোতাকৃত সীমারেখায় ফিরিয়ে আনবে। এটি একটি শক্তিশালী, টেকসই ও চিরস্থায়ী শান্তির প্রথম ধাপ।’
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের সাহায্যে আমরা সবাইকে (জিম্মিদের) ঘরে ফিরিয়ে আনব।’
দেখা যাক, বিশ্বের বিভিন্ন নেতা হামাস–ইসরায়েলের এ সম্মতি নিয়ে কী বলেছেন—
তুরস্ক
হামাস ও ইসরায়েল—দুই পক্ষের আলোচনায় ভূমিকা রাখা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ট্রাম্পকে ‘প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করার’ জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে কাতার ও মিসরকেও মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং এ প্রক্রিয়ায় অবদান অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছর ধরে বর্ণনাতীত কষ্ট সহ্য করা আমার ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের প্রতি আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং দ্রুত পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা জরুরি।
তুরস্ক চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং এই প্রক্রিয়ায় অবদান অব্যাহত রাখবে। দুই বছর ধরে বর্ণনাতীত কষ্ট সহ্য করা আমার ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের প্রতি আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, তুরস্কের প্রেসিডেন্টফ্রান্স
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এ চুক্তিকে ‘জিম্মি ও তাঁদের পরিবার, গাজার ফিলিস্তিনি ও গোটা অঞ্চলের জন্য এক বড় আশার বার্তা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এক্সে দেওয়া বার্তায় মাখোঁ ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কাতার, মিসর ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষকে চুক্তির শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।
মাখোঁ জানান, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও পরের দিকে প্যারিসে ইউরোপীয় ও আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ওই চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, এ চুক্তি (গাজায়) যুদ্ধের সমাপ্তি ও (ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটের) দুই রাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হোক।
যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চুক্তির খবরকে স্বাগত জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গাজায় সহায়তা প্রবেশে সব ধরনের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
স্টারমার বলেন, এটি এমন এক মুহূর্ত, যা সারা বিশ্বে গভীর স্বস্তি এনে দেবে; বিশেষ করে জিম্মিদের পরিবার ও গাজার বেসামরিক মানুষদের জন্য। তাঁরা গত দুই বছর অকল্পনীয় দুর্ভোগ সহ্য করেছেন।
স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মিসর, কাতার ও তুরস্কের ‘অবিরাম কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’র প্রশংসা করেন এবং বলেন, যুক্তরাজ্য যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী শান্তির পথে পরিণত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
দুই পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস কয়েক দিনের মধ্যে তাদের কাছে থাকা জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের ছেড়ে দেবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা গাজার অধিকাংশ এলাকা থেকে সরে যাওয়া শুরু করবেন।ইতালি
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই চুক্তিকে ‘অসাধারণ খবর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনার নির্দেশিত বৃহত্তর পথ এই সংঘাত শেষ করার এক বিরল সুযোগ। এটি আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’
মেলোনি আরও বলেন, ‘আমি সব পক্ষকে আহ্বান জানাই, তারা যেন ইতিমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পূর্ণভাবে সম্মান জানায় এবং শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে।’
মেলোনি জানান, ইতালি মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রচেষ্টায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে এবং গাজায় স্থিতিশীলতা, পুনর্গঠন ও উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধ বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা জানাল হামাস৮ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জাতিসংঘ এ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করবে। পাশাপাশি আমরা গাজার পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমও এগিয়ে নেব।’
মহাসচিব আরও বলেন, এখন এই ঐতিহাসিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন একটি রাজনৈতিক পথ তৈরির সময় এসেছে; যা দখলদারির অবসান ঘটাবে, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি দেবে এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে সহাবস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
কানাডা
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘জিম্মিদের শিগগিরই পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলন ঘটবে জেনে আমি স্বস্তি পেয়েছি।’
মার্ক কার্নি আরও বলেন, বহু বছরের তীব্র কষ্টের পর অবশেষে মনে হচ্ছে, শান্তি এখন নাগালের মধ্যে। কানাডা সব পক্ষকে আহ্বান জানায়, তারা যেন দ্রুত চুক্তির সব শর্ত বাস্তবায়ন করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির দিকে এগিয়ে যায়।
কার্নি কাতার, মিসর ও তুরস্ককে মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুনএটা বিশ্বের জন্য মহান দিন, সবার জন্য এক দারুণ ও আনন্দের দিন: ট্রাম্প ৯ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলে এক্সে লেখেন, ‘এ সুযোগে আমি জানাতে চাই, আন্তর্জাতিক শান্তিতে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আমি ডোনাল্ড জে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেব।’
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত এই নেতা আরও লেখেন, অন্য কোনো নেতা এমন সাফল্য অর্জন করলে অনেক আগেই এ পুরস্কার পেতেন।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক বিবৃতিতে বলেন, মাসের পর মাস অসহনীয় কষ্ট ও ধ্বংসের পর এ চুক্তি কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে।
আনোয়ার ইব্রাহিম সব পক্ষকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থায়ী ও সর্বাত্মক শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এ চুক্তি (গাজায়) যুদ্ধের সমাপ্তি ও (ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের) দুই রাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হোক।এমানুয়েল মাখোঁ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টজাপান
জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে ‘প্রথম ধাপের চুক্তি’ হওয়ায় জাপান তাকে স্বাগত জানাচ্ছে। এটি পরিস্থিতি শান্ত করার ও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
হায়াশি যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্কসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের ‘অবিরাম প্রচেষ্টা’র প্রশংসা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি চুক্তির ‘আন্তরিক ও ধারাবাহিক বাস্তবায়ন’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
টোকিও গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান হায়াশি।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ চুক্তিটিকে ‘আশার আলো’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আলবানিজ বলেন, এ ঘোষণা আট দশকের সংঘাত ও সন্ত্রাসের পর সহিংসতার চক্র ভেঙে একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার আশা এনে দিয়েছে। আজকের দিনটি বিশ্বের জন্য সত্যিকারের আশার দিন।
আরও পড়ুনমিসরে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় ইসরায়েলকে কী শর্ত দিল হামাস০৮ অক্টোবর ২০২৫নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বলেন, গত দুই বছর ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা প্রচণ্ড কষ্ট ভোগ করেছেন। আজকের এ চুক্তি সেই কষ্ট অবসানের প্রথম ইতিবাচক পদক্ষেপ। হামাস ও ইসরায়েলকে চুক্তির সব শর্ত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
‘এটি স্থায়ী শান্তির পথে অপরিহার্য প্রথম ধাপ। আমরা ইসরায়েল ও হামাসকে আহ্বান জানাই, তারা যেন পূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যায়’, বলেন পিটার্স।
ভারত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে লেখেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি তাঁদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করবে এবং স্থায়ী শান্তির পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে, আমরা সেই আশাই করি।’
পাকিস্তান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক্সে লেখেন, এ চুক্তি গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার এক ঐতিহাসিক সুযোগ।
শাহবাজ চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সংলাপ ও আলোচনার পুরো প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব তাঁর বিশ্বশান্তির প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
শাহবাজ কাতার, মিসর ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা, আমরা শ্রদ্ধা জানাই ফিলিস্তিনি জনগণের ধৈর্য ও সহনশীলতাকে। তাঁরা অকল্পনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন, যার আর কখনো পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির পর গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে, কতটা চ্যালেঞ্জ সামনে২ ঘণ্টা আগে