গণ বিশ্বদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১৭ নম্বর কক্ষে এ শপথ পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গকসু সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: ১৬ দফা ইশতেহার দিল গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ

চাকসু: ছাত্রদলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন অনুষের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শপথ শেষে নবনির্বাচিত সহ সভাপতি (ভিপি) মৃদুল দেওয়ান বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতির নয়, জবাবদিহিতার রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা চাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করতে।”

নবনির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে একে অপরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে গকসু সভাপতি ও উপাচার্য ড.

মো. আবুল হোসেন বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ মৃত্যুর আগে দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার জীবদ্দশায় আমরা নির্বাচন আয়োজন করতে পারিনি। তবে এখন করেছি। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় গত ২৫ সেপ্টেম্বর। এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৬৭২ জন। ভোটগ্রহণের ৯ ঘণ্টা পর গণনা শেষে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে ভিপি পদে নয়জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে চারজন এবং এজিএস পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে চারজন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে তিনজন, দপ্তর সম্পাদক পদে ছয়জন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে চারজন, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে চারজন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তিনজন, সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুজন, সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী হয়েছিলেন।

ঢাকা/সাব্বির/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গকস নবন র ব চ ত ব শ বব দ য গ রহণ চ রজন

এছাড়াও পড়ুন:

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ‘ঢাকা ঘেরাও’

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণমিছিল ও জনসভা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। 

আরো পড়ুন:

ডিএমপির অভিযান, মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৪ 

আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হাতীবান্ধা হেলিপ্যাড মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সহুর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মিলিত হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, তিস্তা নদী তীরবর্তী প্রায় ২ কোটি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি তহবিল ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটিকে আটকে রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষক।”

তিনি আরো বলেন, “তিস্তা বাঁচানো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুক। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।

এদিকে, দাবি আদায়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি রংপুর বিভাগের উপজেলাগুলোতে গণমিছিলের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আগামী ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

ঢাকা/নিয়াজ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ