কারও হাতে লাল-সবুজ পতাকা, কারও কপালে ‘বাংলাদেশ’ লেখা স্টিকার, কেউ আবার জাতীয় দলের জার্সি পরে হাজির। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ ঘিরে এই মানুষগুলো হাজির ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে।

হংকংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবল দ্বৈরথের বয়স পঞ্চাশ বছর। দীর্ঘ এই যাত্রায় এ নিয়ে পঞ্চমবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। আগের চারবারে বাংলাদেশ হেরেছে তিনবার, একবার হয়েছে ড্র। এবারের আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ঢাকা সফরে এসেছিল হংকং। সেই দলের কেউ আর বর্তমান দলে নেই।

১৯ বছর পর হংকং যেন নতুন এক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যদিও তাদের খেলার ধরন ও দর্শনে তেমন পরিবর্তন আসেনি—আক্রমণাত্মক ফুটবলই তাদের মূল অস্ত্র। ২০০৬ সালের পর আবার বাংলাদেশ সফরে আসা হংকংকে ঘিরে গত কদিন ধরে ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা। অতীতে বাংলাদেশ এই হংকংকে হারাতে না পারলেও এবার সেই বৃত্ত ভাঙার স্বপ্নই দেখেছেন দেশের ফুটবল সমর্থকেরা।

আজ ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকও একই আশায় বুক বেঁধেছেন। পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী মহিবুল হাসান গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশকে হারতে দেখেছেন। এবার এসেছেন ভিন্ন অভিজ্ঞতার আশায়। তিনি বললেন, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু পারিনি। এবার অন্তত জয়ের খবর নিয়ে বাসায় ফিরতে চাই। হামজা ভাই, শমিত সোম, ফাহামিদুলরা ভালো খেললে জেতা সম্ভব।’

জাতীয় স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ। তার আগে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যেও দেখা গেল মধুর এক লড়াই। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দু-এক আগে হংকংয়ের দর্শকেরা গ্যালারিতে বসতেই অন্য পাশে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকেরা চিৎকার শুরু করেন। প্রায় ৩০-৪০ জন বাংলাদেশি নিজেদের গ্যালারির শেষ প্রান্তে গিয়ে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে গ্যালারি মুখরিত করেন। হংকংয়ের দর্শকেরাও বসে থাকেননি। ‘One Team One Hong Kong’, ‘Fight for Glory’ লেখা টিফো হাতে স্লোগানে স্লোগানে দিয়েছেন জবাব।

প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হংকংয়ের ১১০ জন সমর্থক বাংলাদেশে এসেছেন ম্যাচ দেখতে। তাদের একজন চ্যান সিও। প্রথমবার ঢাকায় এসে উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘প্রথমবার বাংলাদেশে এলাম। খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষ ফুটবলকে অনেক ভালোবাসেন।’ কে জিতবে এমন প্রশ্নে খানিকটা দ্বিধায় পড়ে মুচকি হেসে যোগ করলেন, ‘তোমরা আমাদের বন্ধু.

.. তবে আমরাই জিতব।’

সব লড়াইয়েই থাকে উত্তাপ, থাকে রোমাঞ্চ। বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচও তার ব্যতিক্রম নয়। সর্বশেষ ২০০৬ সালে জাতীয় স্টেডিয়ামে হয়েছিল দুই দলের ফুটবল ম্যাচ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের গোলকিপার ছিলেন বিপ্লব ভট্টাচার্য।

১৯ বছর আগের দ্বৈরথ এখনো চোখে ভাসে বিপ্লবের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হংকং অনেক আগে থেকেই পেশাদার। আমরা যখন খেলেছি তখনো তাদের দলে অনেক বিদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় ছিল। ম্যাচটা বেশ উপভোগ্য হয়। তখন আমাদের বাঙালি দর্শকও ছিল, আবার ওদের দর্শকও ছিল গ্যালারিতে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরে চল মাটির টানে’ স্লোগানে প্রথমবার ব্রজমোহন কলেজে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত

বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন কলেজে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো নবান্ন উৎসব-১৪৩২। আজ বুধবার দিনভর এই উৎসবের আয়োজন করে কলেজের সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন। এবারের এই উৎসবের মূল স্লোগান ‘ফিরে চল মাটির টানে’। বাংলা কৃষিভিত্তিক সমাজ, লোকজ জীবন ও গ্রামীণ সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী এই বর্ণিল আয়োজন সাজানো হয়।

কলেজের কবি জীবনানন্দ মঞ্চে (মুক্তমঞ্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে নবান্ন উদ্‌যাপনের নানা পর্ব। এর মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, লোকগীতি ও ঐতিহ্যবাহী আচার, লোকজ খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ক্যাম্পাসে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

সকালে সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাবের আহমেদ। এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘লোকসংস্কৃতি নানা চাপের মুখে টিকে আছে, এই চাপ ও ভয়ের পরিবেশ আমাদের সংস্কৃতির জন্য একটি বড় হুমকি। শিক্ষার্থীদের শিকড়ের দিকে ফিরে তাকানোর এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, প্রশংসনীয়।’

নবান্ন উৎসবে এসে ছবি তুলে আনন্দে মেতেছে শিক্ষার্থীরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো ডার্ক ম্যাটার শনাক্তের দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা
  • ‘প্রথমবার চুম্বনের দৃশ্য, স্বভাবতই নার্ভাস ছিলাম’
  • পারমাণবিক জ্বালানি লোডিংয়ের দ্বারপ্রান্তে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র
  • ‘ফিরে চল মাটির টানে’ স্লোগানে প্রথমবার ব্রজমোহন কলেজে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত
  • নতুন বিধানসহ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২৫ জারি