শিক্ষা ক্যাডারে রসায়ন বিভাগে প্রথম পঞ্চগড়ের আবু তালেব
Published: 13th, November 2025 GMT
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ফলাফলে শিক্ষা ক্যাডারের রসায়ন বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান আবু তালেব।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
অনার্সের ফল প্রকাশের আগেই বিসিএস ক্যাডার হলেন ঢাবির খাদিজা
পিরোজপুরে নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ
আবু তালেব পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের খোচাবাড়ী এলাকার আহমেদনগর গ্রামের কৃষক সরদার আলী ও গৃহিণী রাবেয়া বেগমের সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তালেব দ্বিতীয়।
তিনি ২০১৪ সালে পামুলী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ২০১৬ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।
এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। এরপর কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। এরপর প্রতিযোগিতা পূর্ণ বিসিএসে অংশ নিয়ে দেখা পান কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আবু তালেব বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এই ফল আমার বাবা-মা, শিক্ষক এবং পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম শিক্ষক হব এবং গ্রামের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করব। সেই সঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই।”
তিনি বলেন, “এটা আমার চতুর্থ বিসিএস। এর আগে ৪৬তম বিসিএসে লিখিত দিয়েছিলাম, ৪৭তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। তাই এবার সফলতা পাওয়া আমার জন্য অনেক আনন্দের।”
ছেলের সাফল্যে আবেগাপ্লুত পিতা সরদার আলী বলেন, “আমি একজন কৃষক মানুষ। নিম্নবিত্ত পরিবারে নানা প্রতিকূলতার পরও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছিলাম। আজ ও দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে, এটা আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার ছেলে দেশের জন্য কাজ করবে, এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রার্থনা।”
ঢাকা/নাঈম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস পর ক ষ য় র জন য ব স এস প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
রানের পাহাড়ে চড়ে গলায় রেকর্ডের মালায়
আয়ারল্যান্ডের ঢিলেঢালা বোলিংয়ে ব্যাটিংটা হলো একেবারে যুৎসই। প্রভাব বিস্তার করে অনায়েসে রান তুলেছেন ব্যাটসম্যানরা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দুজন। সুযোগ ছিল আরো। হয়নি। তাতে কি? স্কোরবোর্ডে বিশাল পুঁজি পেয়ে বড় কিছু রেকর্ডে নিজেদের যুক্ত করেছেন জয়, সাদমান, লিটন, শান্তরা।
সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ২৮৬ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান। লিড পেয়েছে ৩০৭ রানের। স্কোরবোর্ডে তিনশ রানের লিডে চোখ ছিল দলের। নয়তো দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে ৬০০ করার সুযোগ হাতছাড়া করতো না কোনোভাবেই।
আরো পড়ুন:
আয়ারল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত রানার
আয়ারল্যান্ডের ঢিলেঢালা বোলিংয়ে বাংলাদেশের ‘রান উৎসব’
রান পাহাড়ে চড়ে বেশ কিছু অর্জনে নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে দল। সেগুলোতেই চোখ বুলানো যাক—
এক.
টেস্ট ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৬৩৮। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করেছিল। সিলেটে বাংলাদেশ আজ ইনিংস ঘোষণা করে ৫৮৭ রানে।
দুই.
দেশের মাটিতে এটি আবার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। দেশের মাটিতে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল ৬ উইকেটে ৫৬০। ২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই রান করেছিল দল।
তিন.
১১৭.৩ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় রান ৫০০ ছুঁয়ে ফেলে। টেস্ট ক্রিকেটে যা বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় ৫০০ রান। এর আগে ২০১৭ সালে ১২১.২ ওভারে দলীয় ৫০০ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচটি হয়েছিল ওয়েলিংটনে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।
চার.
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম চার ব্যাটসম্যানেরই ফিফটি করার ঘটনা এবারই প্রথম বাংলাদেশের। জয় করেছেন ১৭১ রান। সাদমান ইসলাম ৮০ রানে থেমে যান। মুমিনুল হক করেছেন ৮২ রান। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ১০০ রান। পাঁচে নামা মুশফিকুর রহিম ২৩ এবং ছয়ে লিটন নেমে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে করেন ৬০ রান। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনের ফিফটি পাওয়ার ঘটনাও এবারই প্রথম।
পাঁচ.
কমপক্ষে ৫০০ দলীয় রান হয়েছে এমন ইনিংসে রান রেটে এবারের ইনিংসই এগিয়ে। এই ইনিংসের রান রেট ৪.১৬। এর আগে একবারই রান রেট ৪ ছুঁয়েছিল। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিল ৪.০৮।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল