নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক সোফি ডিভাইন। তিনি অবশ্য ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিউ জিল্যান্ডের একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশ আগের দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেও নিউ জিল্যান্ডের মেয়েরা এখনো জয়ের মুখ দেখেনি।
আরো পড়ুন:
অভিষেক ঝড়ে খুলনা ফাইনালে
লড়াইহীন পরাজয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
টস জিতে সোফি জানান, এটি ব্যবহৃত উইকেট এবং তারা আগে ব্যাট করতে চায়। প্রথমে ভালো একটা স্কোর গড়ে তুলে এরপর বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। তিনি স্বীকার করেন, অনেক কিছুই ইতিমধ্যে ঠিকঠাক চলছে। তবে মূল বিষয় হলো- এই ধারাবাহিকতা দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখা এবং এমন জুটিগুলো গড়ে তোলা, যেগুলো ম্যাচ জেতানোর মতো হতে পারে। একমাত্র পরিবর্তন; ইলিংয়ের জায়গায় খেলছেন মেয়ার।
বাংলাদেশের নিগার সুলতানা জ্যোতি জানান, তারাও আগে বল করতেন। কারণ, তাদের বোলাররা এখন পর্যন্ত ভালো পারফর্ম করছেন। এটি তাদের জন্য একটি ভালো সুযোগ। তারা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চায় এবং তার বিশ্বাস, আজ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। ফাহিমা খাতুন ও সানজিদা আক্তার মেঘলা খেলছেন না। তাদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন সুমাইয়া আক্তার ও নিশিতা আক্তার নিশি।
বাংলাদেশের একাদশ:
রুবিয়া হায়দার ঝিলিক, শারমিন আক্তার, নিগার সুলতানা (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সোবহানা মোস্তারী, সুমাইয়া আক্তার, শর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান, মারুফা আক্তার ও নিশিতা আক্তার নিশি
নিউ জিল্যান্ডের একাদশ:
সুজি বেটস, জর্জিয়া প্লিমার, অ্যামেলিয়া কের, সোফি ডিভাইন (অধিনায়ক), ব্রুক হ্যালিডে, ম্যাডি গ্রিন, ইসাবেলা গেজ (উইকেটরক্ষক), জেস কের, লিয়া তাহুহু, ইডেন কারসন ও রোজমেরি মেয়ার।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন না পেছানোর দাবিতে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের স্মারকলিপি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বরেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন চায় ছাত্রদল-ছাত্র অধিকার-সাধারণ শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে প্যানেলটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পজনিত জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, জকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উৎসাহ, আগ্রহ ও অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে উঠেছে, তা সময়সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাহত হবে। জরুরি পরিস্থিতি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী পরিবেশও উৎসবমুখরভাবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এটি পূর্ববর্তী বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায়ও প্রমাণিত।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন দাবি হলো—
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২২ ডিসেম্বর কোনো অবস্থাতেই পেছানো যাবে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো ধরনের বিলম্ব বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যাবে না।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন এটি। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে কোনো যদি–কিন্তু ছাড়াই।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এরপর ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা করবেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনই ভোট গণনা ও ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল ঘোষণা হবে।