পাবনার যে এলাকায় কোনদিন কোন এমপি প্রার্থী যাননি
Published: 11th, October 2025 GMT
‘‘দ্যাশ স্বাধীনের পরে এত বছরেও আমাগোরে এলাকায় কুনুদিন কুনু এমপি প্রার্থী আসে নাই। এমনকি কুনু সময় কুনু এমপিও আসে নাই। সে জন্যি আমারে এলাকায় কুনু উন্নয়নও হয় নাই। আমরা কিরম কইরে বাস করতিছি কেউ কুনুদিন খবরও লেয় নাই। ইবারই পরথম কুনু এমপি প্রার্থী আমারে গিরামে আইসলো।”
এভাবেই হতাশা আর ক্ষোভের সাথে কথাগুলো বলছিলেন সত্তরোর্ধ্ব কৃষক মোকছেদ সরকার। তার বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রায় নলডাঙা গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে কথা হচ্ছিল তার সাথে।
তার কিছুক্ষণ আগে নৌকাযোগে নেতাকর্মী সমর্থক নিয়ে বিলবেষ্টিত সেই গ্রামে গণসংযোগ করতে যান পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা। নলডাঙা ও স্থল গ্রামে সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগ করেন তিনি।
এসময় সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় হাসানুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পরে এতগুলো বছর পার হলো, এত এমপি আসলো, গেল। অথচ এই গ্রামে কোন ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। একটি কাঁচা রাস্তা পর্যন্ত হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে? উন্নয়ন হয়নি, কারণ বিগত এমপিদের মাটি মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট ছিল না। তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, “তাই এবার আমি সবার কাছে একটি আহ্বান জানিয়ে আসছি। তা হলো আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলুন, আমরা স্থানীয় প্রার্থীকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই, কোন বহিরাগত ব্যক্তিকে এমপি চাই না।”
এসময় চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় সভায় চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী ইনু, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ছাত্রদল নেতা হাসিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ব ক ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কারো হৃদয়ভাঙা একদম পছন্দ নয়, এটাকে ঘৃণা করি: ইধিকা
দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয়ের পর ভারতীয় বাংলা সিনেমায় নাম লেখান।
‘খাদান’, ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার বদৌলতে ইধিকা এখন টলিউডের অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী। ফলে, কার সঙ্গে প্রেম করছেন অথবা কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইধিকা তার প্রেমজীবন নিয়ে কথা বলেছেন।
আরো পড়ুন:
শাকিবের নায়িকা রহস্য
বৃদ্ধাশ্রমে বুবলীর জন্মদিন
এ আলাপচারিতায় ইধিকার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কখনো মন ভেঙেছিল কি না? জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, “হ্যাঁ। ভেঙেছিল।” পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছিলেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ইধিকা পাল বলেন, “কারো মন ভাঙা আমার একদম পছন্দ নয়। সবাই বলে এটা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। কিন্তু আমি এটা চাই না; এটাকে ঘৃণা করি।”
এটা কী কলেজ জীবনে ঘটেছিলে? ইধিকা বলেন, “হ্যাঁ, কলেজ লাইফে মন ভেঙেছিল। পছন্দ না করলেও কিছু করার নেই। সবসময় সঠিক মানুষের সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। সবসময় সঠিক মানুষটাকে বেছে নিতে পারব সেটাও সম্ভব না। আবার সবসময় এটাও সঠিক নয় যে, উল্টো দিকের মানুষটা খারাপ। সে হয়তো তার জায়গায় ঠিক, আমি হয়তো আমার জায়গায় ঠিক। কিন্তু দুজন একসঙ্গে ঠিক না। দুজন ভালো মানুষও একসঙ্গে নাই থাকতে পারেন।”
“যাইহোক, তখনকার পরিস্থিতি তখনকার মতো সামলেছিলাম। আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব আছে, যারা সবসময় আমার পাশে থাকে। কখনো দুঃখ হলে তাদের ডাকি, তারা আমার হিউম্যান ডক্টর আরকি! তাদের সাথে আইসক্রিম খাই, ঠিক হয়ে যায়।” বলেন ইধিকা।
অল্প বয়সে প্রেম করে হৃদয় ভাঙলেও সম্পর্কে এখনো বিশ্বাস করেন ইধিকা। সম্পর্কের ভিত্তি বলতে তিনটি বিষয়কে বুঝেন এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, “সম্পর্কের ভিত্তি হলো—সম্মান, বিশ্বাস, ভালোবাসা।”
২৭ বছরের ইধিকা এখন একা। এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া অন্য একটি সাক্ষাৎকারে বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন ইধিকা পাল। তার মতে, “এই মুহূর্তে বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। বিয়ে মানেই প্রচুর দায়িত্ব, তাই এখন বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। সেই চিন্তা-ভাবনা এখন অনেক দূর।”
বিয়ে নয়, কাজে ডুব দিতে চান ইধিকা। তার ভাষায়—“আগামী ১০ বছরে অনেক অনেক কাজ করতে চাই। একজন ভীষণ ব্যস্ত অভিনেত্রী হতে চাই, যার সারাটা বছর কাজ নিয়ে কেটে যাবে। এখন আমার মূল উদ্দেশ্য নিজের কাজে ফোকাস করা। এছাড়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন চিন্তা করার সময় নেই।”
কলকাতার মডেল ও টিভি অভিনেত্রী ইধিকা পালের নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘কপালকুণ্ডলা’। স্টার জলসায় প্রচারিত এ ধারাবাহিকে ‘পদ্মাবতী’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান।
পরবর্তীতে ‘রিমলি’ ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তা ছাড়াও দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইধিকা। তবে ২০২৩ সালে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
গত বছর ‘খাদান’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিষেক ঘটে ইধিকার। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন টলিউড সুপারস্টার দেব। এরপর একই নায়কের বিপরীতে ‘রঘু ঢাকাত’ সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। ‘প্রজাপতি টু’ ও ‘কবি’ নামে দুটো সিনেমার কাজ এখন ইধিকার হাতে রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত