ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) আরো পরিচ্ছন্ন ও সবুজ করে গড়ে তুলতে ‘স্পেশাল ক্লিনিং ক্যাম্প ২০২৫’ কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত করে।

আরো পড়ুন:

আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে

শহীদ আবরার ফাহাদ বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: ডাকসু

এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাসের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ১৩ শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী একযোগে অংশগ্রহণ করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা, ফুটপাত ও ক্যাম্পাসের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার, আইলেন্ড রং এবং মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “আজ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানকে সফলভাবে বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ১৮টি ইউনিট, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ও প্রাঙ্গণ পরিষ্কারের জন্য একাধিক দল ভাগ করে কাজ করেছে।”

তিনি বলেন, “এই ক্লিনিং ক্যাম্পেইন তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা শুধু অন্যের দ্বারা পরিষ্কার করার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেরা যত্রতত্র ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকব। এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন ক্যাম্পাস গড়তে চাই এবং এটি সারা বাংলাদেশে একটি চমৎকার বার্তা পৌঁছে দেবে।”

ডাকসুর সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “আজকের পরিচ্ছন্নতা অভিযান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার এক অনন্য উদাহরণ। এটিকে বলবো ওয়ান স্মল স্টেপ ইন দা রাইট ডাইরেকশন। এই উদ্যোগ আজ থেকে শুরু হয়েছে, আমাদের আরো বহুপথ অতিক্রম করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই প্রয়োজন।”

এ অভিযানে কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ডাকসু প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু নির্বাচন না পেছানোর দাবিতে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের স্মারকলিপি

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বরেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন চায় ছাত্রদল-ছাত্র অধিকার-সাধারণ শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে প্যানেলটি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পজনিত জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, জকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উৎসাহ, আগ্রহ ও অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে উঠেছে, তা সময়সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাহত হবে। জরুরি পরিস্থিতি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী পরিবেশও উৎসবমুখরভাবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এটি পূর্ববর্তী বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায়ও প্রমাণিত।

‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন দাবি হলো—
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২২ ডিসেম্বর কোনো অবস্থাতেই পেছানো যাবে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

৩. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো ধরনের বিলম্ব বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যাবে না।

‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন এটি। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে কোনো যদি–কিন্তু ছাড়াই।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এরপর ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা করবেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনই ভোট গণনা ও ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল ঘোষণা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ