‘সরকার নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে’
Published: 12th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জলি তালুকদার বলেছেন “বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। একটা দল জাতীয় নাগরিক পাটিকে (এনসিপি) সমর্থন দিয়ে বসে আছে। তারা এনসিপিকে চালাচ্ছে। আমরা দেখেছি এনসিপির নেতারা যেখানেই যাচ্ছে, সরকারের বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা ও সমর্থন তারা পাচ্ছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু দলের সমর্থন দিয়ে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নিরপেক্ষতা প্রয়োজন, সেটিতে বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকার নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারে কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডলের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
জলি তালুকদার বলেন, “গরিবদের জোট বাঁধার এখনই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। ছাত্রদের নেতৃত্ব আমরা মেনে নিয়েছিলাম। সেই ছাত্রদের নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা আমাদের কাম্য ছিল না। অনেক উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে লড়াই করেছেন, আবার অনেকেই ঠান্ডা ঘর থেকে লড়াই দেখছেন। আমাদের একটাই প্রশ্ন- আপনারা এক বছরে শত কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের মতোই যদি আপনারাও করেন, তাহলে গণঅভ্যুথানের আকাঙ্খা কিভাবে রক্ষা করবেন?”
তিনি আরো বলেন, “আমি সেইসব ছাত্র, সেইসব উপদেষ্টা, যারা সমন্বয়ক হয়েছেন এবং তাদের পেছনে যারা অভিভাবক হয়ে কলকাঠি নাড়ান তাদের বলতে চাই, যে ছাত্রদের দিয়ে নতুন স্বপ্নের দেশ গড়তে পারতেন তাদের দুর্নীতি পরায়ন বানালেন কেন? তারা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল। এখন মানুষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিশ্বাস করতে পারে না। দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার করে মানুষের ভরসা অর্জন করা যায় না।”
তিনি বলেন, “কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি আমাদের মেহনতি মানুষের কথা বলেছেন। লড়াই সংগ্রামে তার জীবন কেটেছে।”
জলি তালুকদার বলেন, সাধারণ মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য কথা বলে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি। মুক্তির জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির পতাকা তলে সবাইকে আসতে হবে।”
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিপিবির কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি ওহায়েদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ম হেলাল, সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি নুরুদ্দিন আহম্মেদ, পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন না পেছানোর দাবিতে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের স্মারকলিপি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বরেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন চায় ছাত্রদল-ছাত্র অধিকার-সাধারণ শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে প্যানেলটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পজনিত জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, জকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উৎসাহ, আগ্রহ ও অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে উঠেছে, তা সময়সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাহত হবে। জরুরি পরিস্থিতি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী পরিবেশও উৎসবমুখরভাবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এটি পূর্ববর্তী বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায়ও প্রমাণিত।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন দাবি হলো—
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২২ ডিসেম্বর কোনো অবস্থাতেই পেছানো যাবে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো ধরনের বিলম্ব বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যাবে না।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন এটি। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে কোনো যদি–কিন্তু ছাড়াই।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এরপর ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা করবেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনই ভোট গণনা ও ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল ঘোষণা হবে।