পিএসসি সচিবের নাম-ছবি ব্যবহার করে প্রতারণার চেষ্টা, সতর্ক থাকার আহ্বান
Published: 12th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের সচিব মো. আবদুর রহমান তরফদারের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারণার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
পিএসসির পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি সচিবের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (০১৬০৯১৩৬৫৫৭) থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই নম্বর থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কথাবার্তা বলা হচ্ছে বলে পিএসসির নজরে এসেছে।
আরও পড়ুন এ সপ্তাহে (৩ থেকে ৯ অক্টোবর) দেখে নিন সেরা ১০ সরকারি চাকরি১০ অক্টোবর ২০২৫প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি জানতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিএসসি কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে। প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সচিবালয়ের সচিব বা পিএসসির অন্য কোনো কর্মকর্তা কখনোই ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ বা অন্য কোনো প্রশাসনিক বিষয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। সরকারি যোগাযোগ বা সিদ্ধান্ত–সংক্রান্ত সব তথ্য কেবল পিএসসির ওয়েবসাইট এবং সরকারি চিঠিপত্রের মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়। পিএসসির পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেউ যদি সচিব বা পিএসসি কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত যোগাযোগ পান, তাহলে তা বিশ্বাস না করে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পিএসসি সচিবালয় মনে করছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে না, বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণারও আশঙ্কা তৈরি করছে।
আরও পড়ুনরেড ক্রিসেন্টে তথ্যবিশেষজ্ঞ নিয়োগ, বেতন ৯০ হাজার টাকা২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর প এসস র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের এবার সরিয়ে রাখার চিন্তা
বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী নির্বাচনে দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।
আরো পড়ুন:
নতুন ভোটাররা জানে না ভোট কীভাবে দিতে হয়: তসলিম হুসাইন
নবীনবরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান রাকসু প্রার্থীর
আলোচনায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি এসেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
এছাড়া, বৈঠকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের এবার পুনরায় দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, “কোনো সহিংসতা বা অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সভায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনি পরিবেশ যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, সে লক্ষ্যে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোনো সহিংসতা বা অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদারে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকবে সিসিটিভি এবং মনিটরিং ব্যবস্থা। বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে পর্যাপ্ত।”
প্রশিক্ষণের অগ্রগতি তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণ ২৮টি ব্যাচে ১৩০টি ভেন্যুতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ব্যাচের ৬,৫০০ সদস্যের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ চলছে। সব প্রশিক্ষণ ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।”
আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্যেও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রের জন্য ৫ লাখ ৮৫ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার জন থাকবেন অস্ত্রসহ এবং বাকি ৪ লাখ ৫০ হাজার জন নিরস্ত্র থাকবেন। আনসার ব্যাটালিয়নের ৩,১৫৭ জন রিক্রুট সিপাহিকেও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।”
সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ১০০ প্লাটুনে ৩৩ হাজার বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। এ প্রশিক্ষণ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে শেষ হবে। এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।”
সংবেদনশীল পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনকেন্দ্রিক সীমানা পুনর্নির্ধারণকে কেন্দ্র করে কোনো অস্থিরতা যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিও বর্তমানে শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দুর্গাপূজাকে ঘিরে ষড়যন্ত্র থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে তা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে।”
মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, “শুধু বাহক নয়, গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।”
ঢাকা/এএএম/ইভা