বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ
Published: 12th, October 2025 GMT
ভারতীয় উপমহাদেশে ঐতিহ্যবাহী খেলা স্কোয়াশ। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছিল সেই ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে ফেরাতেই এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা।
দেশে ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভূমিকা রাখতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগে স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তারা বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সব সুবিধা পাবেন।
সে লক্ষ্যেই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সহায়তায় বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’। উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের আসরের রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে চূড়ান্ত পর্বের খেলা আয়োজন করা হবে।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পাশাপাশি ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্স, শাহীন কলেজ ও আর্মি অফিসার্স মেসে প্রতিযোগিতা করবেন খেলোয়াড়রা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরিনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পরে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের মধ্যে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহসিনুল করিম ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
জি এম কামরুল ইসলাম বলেছেন, “বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিসহ পৃষ্ঠপোষক উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য। আপনাদের সহায়তায় আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের সুনাম বয়ে আনব। দেশের তরুণদের মেধা ও প্রতিভাকে মূল্যায়ন করার মধ্য দিয়ে আমরা ইতোমধ্যে চারশ’র বেশি খেলোয়াড় তৈরি করেছি। আসন্ন এসএ গেমসেও আমাদের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করবে। আমাদের রিসোর্স কম। এবার আমরা বসুন্ধরা গ্রুপকে সঙ্গে নিয়ে দেশে স্কোয়াশের একটা বিপ্লব করতে চাই।”
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মোহসিনুল করিম বলেন, “এটি বাংলাদেশের খেলার জগতে বড় একটি আয়োজন। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের উদ্যোগেই মূলত এ আয়োজন। দেশের ফুটবলের মতো স্কোয়াশকেও আমরা এগিয়ে নিতে চাই। সে লক্ষ্যেই চুক্তিটি হয়েছে।”
১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী আঞ্চলিক পর্বে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৮০ জনের অধিক প্রতিযোগী এ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বিজয়ী ও নির্বাচিত ৮০ জন প্রতিযোগী নিয়ে ৯টি গ্রুপে শিরোপার চূড়ান্ত লড়াই শুরু হবে সোমবার থেকে।
চূড়ান্ত পর্বের গ্রুপগুলো হলো—উন্মুক্ত নারী, উন্মুক্ত পুরুষ, উন্মুক্ত মেম্বার এবং ১১ বছরের কম, ১২ থেকে ১৩ বছর, ১৪ থেকে ১৫ বছরের ছেলে ও মেয়েদের পৃথক গ্রুপ।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প র টস স ট র বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন না পেছানোর দাবিতে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের স্মারকলিপি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বরেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন চায় ছাত্রদল-ছাত্র অধিকার-সাধারণ শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে প্যানেলটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পজনিত জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, জকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উৎসাহ, আগ্রহ ও অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে উঠেছে, তা সময়সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাহত হবে। জরুরি পরিস্থিতি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী পরিবেশও উৎসবমুখরভাবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এটি পূর্ববর্তী বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায়ও প্রমাণিত।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন দাবি হলো—
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২২ ডিসেম্বর কোনো অবস্থাতেই পেছানো যাবে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো ধরনের বিলম্ব বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যাবে না।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন এটি। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে কোনো যদি–কিন্তু ছাড়াই।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এরপর ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা করবেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনই ভোট গণনা ও ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল ঘোষণা হবে।