এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেছেন, তাঁদের যৌক্তিক দাবি না মেনে সরকার যদি লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাস দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চায়, তাহলে দেশের মানুষ তার জবাব দেবে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় শহীদ মিনারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মেঘমল্লার বসু এ কথা বলেন।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ সকাল আটটা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে সেখান থেকে সরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।

অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করছে না বলে অভিযোগ করেন মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, ‘আপনারাই আশ্বাস দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে যে তাঁদের সব দাবি মেনে নেবেন। একে তো আপনারা করলেন প্রতারণা, সেই প্রতারণার বিরুদ্ধে যখন শিক্ষকেরা প্রতিবাদ জানালেন, তখন আপনারা তাঁদের ওপর টিয়ার শেল মারলেন।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এই নেতা। পাশাপাশি তাঁদের যৌক্তিক দাবি আদায় করতে গিয়ে পরবর্তী সময়ে কোনো বাধা এলে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাল হয়ে দাঁড়াবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক নিনাদ খান, সদস্য মিশকাত তানিশা প্রমুখ।

আরও পড়ুনপুলিশের লাঠিপেটা, জলকামানে ছত্রভঙ্গ শিক্ষক–কর্মচারীরা গেলেন শহীদ মিনারে ৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত র ইউন

এছাড়াও পড়ুন:

বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

মহান আল্লাহ, পবিত্র কোরআন ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করায় বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের পল্টন জোন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আবুল সরকার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা কোনো মুসলমান কখনো মেনে নিতে পারে না। এটি শুধু ধর্ম অবমাননা নয়; বরং মুসলমানদের ইমানের ওপর প্রকাশ্য আঘাত। হেফাজতে ইসলাম আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, যারা আবুল সরকারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কিংবা তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে, তাদেরকেও মনে রাখতে হবে, এই দেশের ইমানদার জনতা চুপচাপ বসে থাকবে না। যদি অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও আবুল সরকারের বিচার না হয়, তাহলে তৌহিদি জনতা রাজপথে নামবে। প্রয়োজনে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, ধর্মদ্রোহীদের রক্ষা করা মানেই ইসলামবিদ্বেষীদের মদদ দেওয়া। মুসলমানেরা তা কখনো মেনে নেবে না। এই জাতি উপযুক্ত জবাব দিতে জানে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ