মেঘনা গ্রুপে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম)/জেনারেল ম্যানেজার (জিএম), রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স পদে নিয়োগ দেবে। কর্মস্থল ঢাকা হেড অফিসে। আবেদনের শেষ সময় ৩০ অক্টোবর ২০২৫।
পদের নাম ও বিবরণ
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম)/জেনারেল ম্যানেজার (জিএম), রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স
দায়িত্বসমূহ
রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স টিমকে নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা, যাতে সব কমপ্লায়েন্স ও ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় এবং সব লাইসেন্স, অনুমোদন ও সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি ডকুমেন্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ট্র্যাক করা হয়। সরকারি সংস্থা ও শিল্প সমিতির সঙ্গে পরিদর্শন, অডিট, বৈঠক ও ফোরামে কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করা। সংশ্লিষ্ট কারখানাপ্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে সব লাইসেন্স, অনুমোদন ও রেগুলেটরি ডকুমেন্টের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
ব্যবসায় প্রশাসন, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। কমপ্লায়েন্স বা রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিষয়ে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশে সরকারি লিয়াজোঁ, লাইসেন্সিং বা রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স–সংক্রান্ত কাজে ন্যূনতম ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা।
বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
প্রতিযোগিতামূলক বেতন ও সুযোগ-সুবিধা। ফুলটাইম গাড়ি সুবিধা। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসরকালীন সুবিধা। বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি ও দুটি উৎসব ভাতা।
আবেদন প্রক্রিয়া
আগ্রহী প্রার্থীদের তাঁদের হালনাগাদ সিভি ও কভার লেটার [email protected] ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ই–মেইলের বিষয় লাইনে অবশ্যই লিখতে হবে — ‘DGM/ GM, Regulatory Affairs’।
আবেদনের শেষ তারিখ
৩০ অক্টোবর ২০২৫
বিস্তারিত দেখতে ভিজিট করুন
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কমপ ল য় ন স
এছাড়াও পড়ুন:
পোড়া বাঁশ ও টিনের জোড়াতালিতে মাথা গোঁজার চেষ্টা
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব। চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ। এরই মধ্যে লোহার শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়ছেন একজন মানুষ। কখনো থেমে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। কয়েকটি গর্ত আগেই খুঁড়েছেন—তাতে আংশিক পুড়ে যাওয়া বাঁশ, তক্তা আর কাঠ পুঁতে তোলার চেষ্টা করেছেন একটি ঘরের কাঠামো। অঙ্গার হওয়া টিনগুলো জোড়াতালি দিয়ে বাঁধছেন সেই কাঠামোতে।
লোকটির নাম রফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তির বউবাজার এলাকায় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। মঙ্গলবারের আগুনে রফিকুল ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস আক্তারের মাত্র ৮০ বর্গফুটের ঘরটি মুহূর্তে ছাই হয়ে গেছে। বস্তির পানির ট্যাংক অংশে ছিল তাঁদের ছোট্ট সংসার।
কথা বলতে বলতে রফিকুল জানালেন, তিনি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় চালান। স্ত্রী বিলকিস গুলশানের একটি বাসায় কাজ করেন। দুজনই সারা দিন বাইরে থাকেন বলে তাঁদের দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নানা-নানির কাছে রেখেছেন।
আগুন লাগার দিন ঘরে ছিলেন বিলকিস। রফিকুল ছিলেন বাইরে। হঠাৎ আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্ত্রী কোনো রকমে টেলিভিশন আর গ্যাসের সিলিন্ডার সরাতে পেরেছিলেন। বিছানা, কাপড়চোপড়, হাঁড়িপাতিল—সংসারে যা কিছু ছিল, সবই পুড়ে গেছে। সেদিন রাতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল বাড্ডায় ছোট ভাইয়ের বাসায়। এখন কোনোমতে পুড়ে যাওয়া টিন দিয়েই ছাউনি আর বেড়া দিয়ে থাকার জায়গা তৈরির চেষ্টা করছেন।
দুপুরে কড়াইল বস্তির বউবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বস্তিবাসীরা নিজ নিজ ঘরের জায়গায় আগুনে পুড়ে যাওয়া টিন, কাঠ, কয়লা, আসবাব সরাচ্ছেন। কেউ কেউ পরিষ্কার করছেন অবশিষ্ট ছাই-কয়লা। অনেকে পলিথিন-ত্রিপলের অস্থায়ী ছাউনি বানিয়েছেন। মেঝেতে পাটি বিছিয়ে দিয়েছেন পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের জন্য।
বস্তির বাসিন্দারা জানান, জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের খাবার ও শীতবস্ত্র প্রয়োজন। কারণ, আগুনে তাঁদের সহায়–সম্বল সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনেকে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। মাস শেষ হওয়ায় অনেকের হাতে টাকাপয়সাও নেই। ঘরে থাকা হাঁড়ি–পাতিল, চুলা সব পুড়ে গেছে। রান্না করে খাওয়ারও উপায় নেই।
খোকন আলী দুই বছরের নাতিকে নিয়ে পুড়ে যাওয়া একটি ঘরে টানানো ত্রিপলের ছায়ায় বসে ছিলেন। এক টুকরা টোস্ট বিস্কুট হাতে নিয়ে খাচ্ছিল শিশুটি। পাশে বসে নাতিকে দেখভাল করছিলেন খোকন।
খোকন প্রথম আলোকে বলেন, যে জায়গায় বসে আছেন, সেখানে বড় ছেলের ঘর ছিল। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কাছেই আরেকটি ঘরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ওই ঘরটাও পুড়ে গেছে।
ত্রাণসহায়তা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে খোকন বলেন, ‘এক লাইনে দিলে আরেক লাইনে দিতাছে না। এনু-উনু কইরা দিয়া চইলা যাইতাছে। কেউ পাইতেছে, কেউ আবার পাইতেছে না। কোনো কিছুরই ঠিক নাই।’ সকালে সাতজনের জন্য চারটি কলা, তিনটি রুটি আর তিনটি ডিম পেয়েছেন। দুপুরে কিছু পাননি বলে জানান তিনি।
আগুনে পোড়ার পর বস্তিবাসীর সহায়তায় খোলা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। আজ কড়াইল বস্তিতে