চাকসু: শেষদিনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার
Published: 13th, October 2025 GMT
শেষদিনের মতো চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের প্রচার। অনেকটা নাওয়া-খাওয়া ভুলে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে শেষবারের মতো ভোট চাইছেন প্রার্থীরা, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। শেষদিনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে প্রাণপণ চেষ্টা তাদের।
এদিন ক্যাম্পাস জুড়ে প্রচারর আমেজ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ভোটার-প্রার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও পয়েন্টে প্রচার চালান প্রার্থীরা। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত এ প্রচার চালাতে পারবেন তারা।
দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে প্রচার চালাতে দেখা যায় ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম রনিকে।
এ সময় গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “আজ নির্বাচনী প্রচারর শেষদিন। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। শেষদিনে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দোয়া নিতে এসেছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের ভালোভাবে গ্রহণ করছে। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষা করছি।”
একই অনুষদে কিছুক্ষণ পর প্রচার চালাতে দেখা যায় ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাফায়াত হোসেনকে। এ সময় তিনি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে আমরা বিভিন্ন অনুষদে প্রচার চালাচ্ছি। নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের আমেজ খুব ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক।”
নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.
আগামী ১৫ অক্টোবর চাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ভোট গণনা হবে আধুনিক ওএমআর পদ্ধতিতে। পাঁচটি ভবনের মোট ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর সব কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে চাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন না পেছানোর দাবিতে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের স্মারকলিপি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বরেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন চায় ছাত্রদল-ছাত্র অধিকার-সাধারণ শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। এ দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে প্যানেলটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পজনিত জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, জকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উৎসাহ, আগ্রহ ও অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গড়ে উঠেছে, তা সময়সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাহত হবে। জরুরি পরিস্থিতি কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী পরিবেশও উৎসবমুখরভাবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এটি পূর্ববর্তী বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতায়ও প্রমাণিত।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন দাবি হলো—
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ২২ ডিসেম্বর কোনো অবস্থাতেই পেছানো যাবে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো ধরনের বিলম্ব বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যাবে না।
‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন এটি। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বরই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে কোনো যদি–কিন্তু ছাড়াই।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। এরপর ৪ ডিসেম্বর, ৭ ডিসেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রত্যাহার করা প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এরপর ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা করবেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনই ভোট গণনা ও ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল ঘোষণা হবে।