স্বামীকে ২১ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন স্ত্রী
Published: 13th, October 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান তাঁর স্বামীকে প্রায় ২১ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিচ্ছেন। মুন্নু সিরামিকের উদ্যোক্তা পরিচালক আফরোজা খানম তাঁর স্বামী মঈনুল ইসলামকে এই শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার আফরোজা খানমের পক্ষ থেকে স্বামীকে শেয়ার উপহার দেওয়ার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি মুন্নু সিরামিকের উদ্যোক্তা আফরোজা খানম কোম্পানিটির প্রায় ২৬ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন।
ঢাকার শেয়ারবাজারে আজ সোমবার মুন্নু সিরামিকের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৭৯ টাকা। সেই হিসাবে ২৬ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
ডিএসইতে প্রকাশিত ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, আফরোজা খানম মুন্নু সিরামিকের একজন উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। আফরোজা খানম মুন্নু গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে। আর মঈনুল ইসলাম মুন্নু সিরামিকের একজন সাধারণ শেয়ারধারী। সাধারণ শেয়ারধারী হলেও তিনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে নেই।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক।
ডিএসইতে দেওয়া শেয়ার উপহারের ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, আফরোজা খানম তাঁর স্বামীকে যে পরিমাণ শেয়ার উপহার দিচ্ছেন, তা কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭ শতাংশের বেশি। ফলে উপহারের এই শেয়ার নিয়েই মঈনুল ইসলাম চাইলে কোম্পানিটির পরিচালক হতে পারবেন। কারণ, উপহারের এই শেয়ারে তিনি ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করবেন। জানা যায়, মূলত স্বামীকে কোম্পানির পরিচালক করতেই স্ত্রীর পক্ষ থেকে এই শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে উপহারের এই শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করা হবে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় মুন্নু সিরামিক। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ৩৭ দশমিক ৪৩ শতাংশই ছিল এটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। সাধারণ শেয়ারধারীদের হাতে ছিল ৪৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানি মাঝারি মানের কোম্পানি হিসেবে ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত। সর্বশেষ গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
সর্বশেষ গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর কোম্পানিটি প্রায় ৮৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ য় র উপহ র দ শ য় রব জ র উদ য ক ত এই শ য় র উপহ র র র পর চ আফর জ
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৫ থেকে ৯ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৭৬৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
কারণ ছাড়াই বাড়ছে আরো ২ কোম্পানির শেয়ার দর
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমেছে জনতা ইন্স্যুরেন্স
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩২.০৭ পয়েন্ট বা ২.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮.৮০ পয়েন্ট বা ২.৩৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩৩ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩৭.৭১ পয়েন্ট বা ৩.২২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৯৫.১৬ পয়েন্ট বা ৯.৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, দর কমেছে ২৯৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩২.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৯৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৯৭৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৮২ শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৭০ শতাংশ কমে ৯৪৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৭.৩৬ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২০ হাজার ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩২১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, দর কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা