লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ২২ গজ যেন স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য। সেখানে পাকিস্তানের ঘূর্ণি জালে জড়িয়ে ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মার্করামদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৬। এখনো ১৬২ রানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা।

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান থেমেছিল ৩৭৮ রানে। সেই রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ যেন হারিয়ে ফেলেছিল ছন্দের তাল। শুরুতে রায়ান রিকেলটন (৭১) ও টনি ডি জর্জির (৮১*) ৯৪ রানের জুটি কিছুটা আশার আলো দেখালেও সেটি টিকল না বেশিক্ষণ। বাবর আজমের অসাধারণ ক্যাচে ভাঙে গুরুত্বপূর্ণ সেই জুটি। স্লিপে দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের গতিতে ডানদিকে ডাইভ দিয়ে বল মুঠোয় পুরে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

আরো পড়ুন:

চার ফিফটিতে প্রথম দিন পাকিস্তানের

জয়ের পর জরিমানা গুনলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার

এরপর থেকেই প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে নামে ধস। ওপেনার মার্করাম নোমান আলির ঘূর্ণিতে ২০ রানে বোল্ড হন। তিন নম্বরে নামা উইয়ান মুলডার (১৭)–ও টিকতে পারেননি সেই স্পিনের সামনে। ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ স্পিনার নোমান একাই নিয়েছেন ৮৫ রানে ৪ উইকেট। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সাজিদ খান ও সালমান আলী আগা। দুজনের ঝুলিতে একটি করে উইকেট।

পাকিস্তানের ইনিংসের গোড়াপত্তন হয়েছিল ইমাম-উল-হকের দৃঢ়তা ও মধ্যভাগে রিজওয়ান-সালমানের জুটিতে। দ্বিতীয় দিন সকালে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান, আর সালমান হাতছাড়া করেন শতরান। আউট হওয়ার আগে করেন ৯৩। তবে নিচের দিকের ব্যাটাররা আর দাঁড়াতে পারেননি। চারজন ফেরেন শূন্য হাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন সেনুরান মুথুস্বামী, ১১৭ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

ব্যাট হাতে ৯৩ রানের ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের উদ্দেশে জবাব দিয়েছেন ওপেনার ইমাম-উল-হক। প্রায় দুই বছর পর টেস্টে ফেরা এই ব্যাটার বলেন, “আমি সবসময় নিজের খেলা নিয়ে কাজ করেছি। অনেকে বলেছে আমার শৃঙ্খলার অভাব আছে। কিন্তু আমি কখনও এমনটা ভাবিনি। পাকিস্তানের হয়ে খেলা নিজেই এক সৌভাগ্যের ব্যাপার, সুযোগ পেলে সেটাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে চাই।”

এখন চোখ লাহোরের তৃতীয় দিনের দিকে। পাকিস্তান ঘূর্ণির ধার ধরে এগোবে, নাকি জর্জি-মুথুস্বামীদের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়াবে। সে উত্তরই দেবে মঙ্গলবার সকালের প্রথম ঘণ্টা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

জীবনবৃত্তান্তে শিক্ষা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পদত্যাগ করলেন রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পদত্যাগ করেছেন রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার ইওনুত মোস্তেনু বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ইউনুত জানিয়েছেন, তিনি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার কথা লিখেছেন, যেখানে তিনি কখনো পড়াশোনা করেননি। তিনি চান না যে, এই নিয়ে বিতর্ক তার দেশকে ‘বিভ্রান্ত’ করুক।

তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “আজ, আমি জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। রোমানিয়া ও ইউরোপ রাশিয়ার আক্রমণের মুখে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইউনুতের জীবনবৃত্তান্তে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এরপরই ইউনুত চাপের মুখে পড়েন।

ওই দিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা চান।

তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, “২০১৬ সালে অনলাইনে পাওয়া একটি টেমপ্লেট ব্যবহার করে আমি দ্রুত যে সিভি তৈরি করেছিলাম, তাতে একটি ভুল আছে যা আমি স্বীকার করছি। এটি আমাকে বিব্রত করছে। আমি সেই সময় এই বিবরণগুলোতে খুব বেশি মনোযোগ দেইনি।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ