এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের লংমার্চে পুলিশের বাধা
Published: 14th, October 2025 GMT
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সচিবালয় অভিমুখী লংমার্চ আটকে দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাইকোর্ট মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ শিক্ষক–কর্মচারীদের বাধা দেয়।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।
বিকেল চারটায় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী ঘোষণা দেন, তাঁরা প্রশাসনকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় এখন তাঁরা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করবেন।
এই শিক্ষক নেতার ঘোষণার পরপরই অবস্থানরত শিক্ষক–কর্মচারীরা শহীদ মিনার থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। তবে তাঁদের মিছিলি হাইকোর্ট মোড়ে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। হাইকোর্ট মোড় ও শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ দুই স্তরের ব্যারিকেড স্থাপন করেছে। শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের দুটি জলকামান ও দুটি সাঁজোয়াযান মোতায়েন রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাতটি ফ্ল্যাট, দুটি দোকানসহ ৩৩ দলিলের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। আগরওয়ালা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ১২৩ টাকা জমা ও ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির না হওয়ায় পর্যন্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির স্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২২ জুলাই পরিবারসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।