বলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পাঞ্জাবি অভিনেত্রী সোনম বাজওয়া। কারণ, সিনেমাগুলোর অধিকাংশেই ছিল চুমুর দৃশ্য। সেই সময় তিনি ভয় পেতেন—পাঞ্জাবি দর্শক তাঁর এমন দৃশ্য মেনে নেবে কি না, পরিবার কীভাবে দেখবে, আর তাঁর জনপ্রিয়তা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনম বাজওয়া অকপটে জানিয়েছেন, বলিউডে কাজের সুযোগ অনেকবার এসেছিল তাঁর হাতে, কিন্তু প্রতিবারই চুমুর দৃশ্যের কারণে পিছিয়ে গেছেন।

তাঁর কথায়, ‘আমি কিছু হিন্দি সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, কারণ তখন ভাবতাম—পাঞ্জাব এই বিষয়টা মেনে নেবে কি না। আমাদের এখানে এমন মানসিকতা, পরিবার-পরিজন সবাই একসঙ্গে সিনেমা দেখে। তখন খুব ভয় লাগত—যদি আমি কোনো চুমুর দৃশ্য করি, মানুষ কীভাবে নেবে? যারা আমাকে এত ভালোবাসে, তারা কী ভাববে? আমার পরিবার কি বুঝবে যে এটা সিনেমার অংশ মাত্র? এমন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরত মাথায়।’

সোনম বাজওয়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-স্ত্রী ছিলেন কারখানায়, আগুন লাগার পর দুজনই নিখোঁজ

ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়ির আরএন ফ্যাশনস ভবনে আগুন নেভাতে যখন ফায়ার সার্ভিস কাজ করছিল, তখন বাইরে আরও অনেকের সঙ্গে আহাজারি করছিলেন ইয়াসমিন বেগম। তার হাতে মেয়ে মার্জিয়া সুলতানা ও জামাতা মোহাম্মদ জয়ের ছবি।

পাঁচতলা ওই ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা নিয়ে ছিল আরএন ফ্যাশন। সেখানে একসঙ্গে কাজ করতেন জয় ও মার্জিয়া। জয় অপারেটর, আর মার্জিয়া হেলপার।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ। বিকেল পাঁচটার দিকে সেখানে আহাজারি করতে দেখা যায় মার্জিয়ার মা ইয়াসমিন বেগমকে। তিনি বলছিলেন, ‘আল্লারে তুমি আমার মাইয়া আর তার জামাইডারে বাঁচাই দাও আল্লাহ। তাগো তুমি রক্ষা কইরো আল্লাহ।’

প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় মার্জিয়ার বাবা মোহাম্মদ সুলতানের। তিনি বলেন, দুপুর ১২টার একটু আগে আগুন লাগার খবর শুনে প্রথমে তিনি ফোন করেন মেয়েজামাই জয়কে। কিন্তু জয় ফোন ধরেননি। পরে মেয়ে মার্জিয়াকে ফোন করেন। মেয়ে ফোন ধরলেও বিস্তারিত বলতে পারেননি।

সুলতান বলেন, ‘মেয়েরে জিগাইলাম, আম্মু তুমি কই? আগুন নাকি লাগসে? মেয়ে কানতে কানতে কইল,  আগুন লাগসে অফিসে। বের হতে পারছি না। অনেক ধোঁয়া, অন্ধকার। বের হওয়া পথ পাচ্ছি না।’

মেয়ের সঙ্গে এটুকুই কথা হয় সুলতানের। এরপর দৌড়ে গার্মেন্টেসের কাছে চলে আসেন। এসে দেখেন, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এর পর থেকে মেয়ে আর জামাতার মুঠোফোনে কল করে গেলেও তা বন্ধই পাচ্ছেন।

সুলতান জানান, জয় আর মার্জিয়ার বিয়ে হয় ছয় মাস আগে। এই কারখানায় কাজের সুবাদেই দুজনের পরিচয় হয়, তা থেকে পরিণয়। স্বামী-স্ত্রী দুজন একসঙ্গে কারখানায় আসা-যাওয়া করতেন।

মেয়ে ও জামাতার খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ নিয়ে কারখানার সামনে অপেক্ষায় ছিলেন সুলতান।

ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের পর ১৬টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে। তবে দেহগুলো এতটাই পুড়েছে যে কোনো লাশই শনাক্ত করা যায়নি।

ভবনটিতে আগুন লাগার পর কারখানা ভবন থেকে শ্রমিকেরা নানাভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে ছাদের গেট বন্ধ থাকায় অনেকে আটকা পড়েন। তাঁদের অনেকের খোঁজ এখনো মেলেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ