সারা দেশে সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। কুয়াশা কিছুটা কমলেও উত্তরের হিমেল বাতাসে গতকাল রাত থেকে সকাল পর্যন্ত জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। আর বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলাজুড়ে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। সকালের হিমেল বাতাস কনকনে শীতের বার্তা দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার মতে, হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরের এই জনপদে প্রায় প্রতিদিনই দিনের বেলা ঝলমলে রোদের কারণে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা হতে না হতেই অনুভূত হচ্ছে শীত, যা থাকছে পরদিন সকাল পর্যন্ত।

আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার আবরণে মোড়ানো সকালে বইছে উত্তরের ঝিরিঝিরি বাতাস। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়ে হয়েছেন স্বল্পসংখ্যক মানুষ। কেউ হাঁটছেন আবার কেউ কেউ ফসলের মাঠে পাকা ধান কাটার কাজ করছিলেন। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ব্যাগ-বইপত্র নিয়ে বের হয়েছিল।

আরও পড়ুনপঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, ঝরছে কুয়াশা২১ ঘণ্টা আগে

আজ সকাল সোয়া সাতটার দিকে সদর উপজেলার তেলিপাড়া এলাকায় পাকা ধান কাটছিলেন রুবেল ইসলাম (৩৫) নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, ‘কাইলকার (গতকালের) চেয়ে আজি সকাল তকা (থেকে) কুয়াশা কম। কিন্তু আজি একখান ঠান্ডা বাতাস লাগেছে। ধান কাটিতে হাত-পা ঠান্ডা হচে। এইবার বুঝা যাছে ঠান্ডার (শীতের) দিন চলে আইচ্চে (এসেছে)।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এখন থেকে তেঁতুলিয়ার দিনের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। নভেম্বরের শেষ সময় থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, ঝরছে কুয়াশা

হেমন্তের শুরুর দিকেই দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। দিন দিন তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে শুরু করেছে। রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত ঝরছে কুয়াশা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে।

রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এতে এই এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই শীত অনুভূত হচ্ছে আর এই অনুভূতি থাকছে সকাল পর্যন্ত। তবে দিনের বেলা ঝলমলে রোদ থাকায় দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও শৈত্যপ্রবাহের আভাস নেই। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছর শীতের আগমন ঘটে কিছুটা আগেভাবে, শীত বিদায়ও নেয় দেরিতে। বর্তমানে হেমন্তের মাঝামাঝি এই সময়টাতে সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। গত কয়েক দিন ধরে রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। এতে রাতের বেলা হালকা কাঁথা-কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

আজ সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের পূর্ব আকাশে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। সড়কের পাশের ঘাস আর ফসলের মাঠে পাকতে শুরু করা আমন ধানের গাছে জমেছে শিশির। চারদিকে যেন শীতের আবহ। এরই মধ্যে পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সকালে সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শিংপাড়া এলাকায় হাঁটতে বের হওয়া আবদুল কুদ্দুস (৪৬) নামের এক ব্যক্তি বলেন, মনে হচ্ছে এবার শীত এসেই গেল। কয়েক দিন ধরে রাতে হালকা কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। সকাল সকাল ভালোই ঠান্ডা লাগছে। আজকে ভোরে খুব কুয়াশা ছিল, এখন কিছুটা কমে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, ঝরছে কুয়াশা