অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বললেন সিইসি
Published: 25th, November 2025 GMT
দেশে অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনে যেসব নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা কাজ করেছে, তাদের অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোনোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘দেখলাম যে এখানে অনেক পুরোনো সংস্থা আছে, যারা অতীতে ইলেকশন অবজারভারের দায়িত্ব পালন করেছে। তো আমি অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না। আমি অলওয়েজ সামনের দিকে তাকাতে চাই। অতীতে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়েছে। নানা কারণে এটা হতে পারে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনে এগোতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন এই সংলাপের আয়োজন করে।
নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণের জন্য ইসির নিজস্ব তত্ত্বাবধানমূলক ব্যবস্থা আছে। তবে আগামী নির্বাচনে ইসির নিয়োগ করা পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মাধ্যমেও নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি জানতে ও বুঝতে চায় কমিশন। সিইসি বলেন, ‘আপনাদের চোখ যদি দুষ্ট হয়, প্রপার না হয়, আমাদের ইলেকশনের দেখাটাও সঠিক হবে না।’
পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো মাঠপর্যায়ে যেসব জনবল নিয়োগ করবে, নির্বাচনের আগে সেই জনবলকে নির্বাচনবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে জোর দেন সিইসি। সিইসি মনে করেন, পর্যবেক্ষক সংস্থার লোকেরা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
সিইসি বলেন, ‘যাদের নিয়োগ করবেন, প্লিজ চেক করবেন যে তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন কি না। কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, কোন পার্টির সঙ্গে জড়িত, মিছিল-মিটিংয়ে গিয়েছে.
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে সচেতন করে সিইসি বলেন, তাদের কাজ হবে শুধু পর্যবেক্ষণ করা। দলের হয়ে কাজ করা নয়। যদি কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে, সেটা ওই সংস্থার রেপুটেশনকে কমিয়ে দেবে।
পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে ইসির ক্যামেরা অভিহিত করে সিইসি বলেন, ‘আমার সিসি ক্যামেরা হচ্ছে আমার অবজারভার। আমার সিসি ক্যামেরা হচ্ছে আমার সাংবাদিক ভাই-বোনেরা। এরা যদি সত্যিকারভাবে চোখ রাখে, তাহলে কিন্তু দেখবেন যে কেউ অনিয়ম করতে সাহস পাবে না।’
সংলাপে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে যারা পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে, তাদের সম্পৃক্ততার কারণে এবার তাদের অনেককে নিয়োগ দেওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘অতীতে যে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে, এ রকম উদাহরণ আমরা আর সৃষ্টি করতে চাই না। কোনো অবস্থাতেই নয়। পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে তো নয়ই।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিহাসের স্বচ্ছ নির্বাচন হবে উল্লেখ করর এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালে। নিশ্চিত থাকুন। এই স্বচ্ছতার ব্যত্যয় যারা ঘটাবে, তাদের নির্বাচন কমিশন নূ্৵নতম ছাড় দেবে না।'
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম, তাহমিদা আহমেদ এবং আব্দুর রহমানেল মাছউদ। সংলাপে অংশ নেন ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধি। আজ বেলা দুইটায় আরও ৪১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো গভীর করার প্রস্তাব
পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো জোরদার করার লক্ষ্যে পাকিস্তান জাতীয় জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (পিএনএসসি) ও বাংলাদেশ জাহাজ চলাচল কর্পোরেশন (বিএসসি) এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের বোমা হামলায় শিশুসহ ১০ আফগান নিহত
পাকিস্তানে আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে বন্দুকধারীদের হামলা
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে পাকিস্তানের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ জুনাইদ আনোয়ার চৌধুরী এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।
এতে যৌথ কন্টেইনার ও বাল্ক জাহাজ চলাচল পরিষেবা, প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সমুদ্র পরিবহন উন্নয়নে সহযোগিতা, পারস্পরিক বন্দর-কল সুবিধা প্রদান এবং উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পৃক্ততা জোরদার করার লক্ষ্যে বড় ধরনের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী আইএমও ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমুদ্র পরিবহন-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আঞ্চলিক সমুদ্র পরিবহন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাঠামো তৈরির পাকিস্তানের বৃহত্তর লক্ষ্যের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রবাহকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতির প্রমাণ হিসেবে কেপিটির ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা, চলমান আধুনিকীকরণ উদ্যোগ এবং উন্নত টার্নঅ্যারাউন্ড সময় তুলে ধরেন। পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, বন্দর-থেকে-বন্দর সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হলে সরবরাহ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ কমানো যাবে, আঞ্চলিক বাধা কমানো যাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বাণিজ্যিক একীকরণের জন্য নতুন পথ খুলে যাবে।
বৈঠকে উভয় পক্ষই বলেছে যে, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সমুদ্র আলোচনা শুরু করা বন্দর উন্নয়ন, জাহাজ চলাচল খাতের সহযোগিতা, মৎস্য ও অন্যান্য উদীয়মান সমুদ্র সমস্যা নিয়ে নিয়মিত আলোচনার জন্য একটি কাঠামোগত প্ল্যাটফর্ম হবে।
ঢাকা/ফিরোজ