খুলনার দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম (৪৯) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে (স্ট্রোক) মারা গেছেন। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দাকোপ থানার ওসি (তদন্ত) মো. হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো.

সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে খুলনা জেলা পুলিশে শোক বিরাজ করছে। সিরাজুল ইসলাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল হাই মোড়লের ছেলে। 

খুলনা জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর দাকোপ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সিরাজুল ইসলাম অসুস্থতা বোধ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা শহরে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল খুলনার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান। সোমবার রাতেই তার লাশ নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানেই জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

সিরাজুল ইসলাম ২০১১ সালের ১ জুলাই বহিরাগত ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ১৪ বছর ৪ মাস ১৩ দিনের চাকরিজীবনে তিনি যশোর, মাগুরা ও খুলনা জেলায় কর্মরত থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

খুলনা জেলার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সিরাজুল ইসলামের মতো পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুতে খুলনা জেলা পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। তার মৃত্যুতে খুলনা জেলা পুলিশের সকল সদস্য গভীর শোক প্রকাশ করছে। একইসাথে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স র জ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে অগ্নিকাণ্ডে ইঞ্জিন বিকল, দুই ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ সচল

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে সেটি বিকল হয়ে পড়েছিল। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দুই ঘণ্টা পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর রেল স্টেশনের কাছে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেছেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া অভিমুখে চলাচলকারী বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগে। এতে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে বিকল্প ইঞ্জিনে শম্ভুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসে ট্রেনটি। পরে বিকল্প ইঞ্জিন নিয়েই শম্ভুগঞ্জ ছেড়ে যায় ওই ট্রেন। 

যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ইঞ্জিনে আগুন লাগে। বিকল ইঞ্জনটি বর্তমানে শম্ভুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আছে।

ঢাকা/মিলন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ