গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। সোমবার মধ্যরাত ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে তাদের মারধর করেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামিম মিয়া একই উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর করা সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার 

কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে, মামলা

আহতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার হাশেমের ছেলে লিটন (৩০), একই জেলার উজিরপুর থানার সকরাইল গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩২), বাবুগঞ্জ থানার চর ফতেপুর গ্রামের আ.

লতিব সরদারের ছেলে মো. ইলিয়াছ সরদার (৩৫), বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রামের বাদশা শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৪৫), একই উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আকমলের ছেলে সোহাগ (৪১), নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার পাথড়া গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার (৩২) ও কিশোরগঞ্জ জেলার নানদাইল থানার পূর্বধলা গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (৪৫)। তাদের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের মো. ঝিল্লু কাজীর বাড়ির গোয়াল থেকে একটি গাভি ও একটি বাছুর ট্রাকে তুলে পালিয়ে যাচ্ছিল চোর চক্রের আটজন। ট্রাকটি উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে পৌঁছালে স্থানীদের সন্দেহ হয়। তারা ওই ব্যক্তিদের ট্রাক থেকে নামিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামিম মিয়া মারা যান।

তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ন হত আহত র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে অগ্নিকাণ্ডে ইঞ্জিন বিকল, দুই ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ সচল

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে সেটি বিকল হয়ে পড়েছিল। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দুই ঘণ্টা পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর রেল স্টেশনের কাছে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেছেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া অভিমুখে চলাচলকারী বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগে। এতে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে বিকল্প ইঞ্জিনে শম্ভুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসে ট্রেনটি। পরে বিকল্প ইঞ্জিন নিয়েই শম্ভুগঞ্জ ছেড়ে যায় ওই ট্রেন। 

যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ইঞ্জিনে আগুন লাগে। বিকল ইঞ্জনটি বর্তমানে শম্ভুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আছে।

ঢাকা/মিলন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ