জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এ আজ মঙ্গলবার সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ ও নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আদালত জানান, আগামী ৮ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

মাহবুব উল আলম হানিফ ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। তাঁরা সবাই পলাতক।

প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় আরও ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনও এ সময় সেখানে ছিলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়া শহরে ছয়জনকে হত্যাসহ এই চার আসামির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

আরও পড়ুনমানবতাবিরোধী অপরাধে হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন০২ নভেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র আস ম র অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দুই পুলিশ সদস্য জখম

গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে নগরের মধ্য ভোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন—গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রশিদ ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। আটক মো. আব্রাহাম (১৯) গাজীপুর মহানগরীর ঘোড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর থানার এএসআই আবদুর রশিদ ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম সোমবার মধ্যরাতে একটি অভিযানে মধ্য ভোরা এলাকায় যান। পথে একদল ছিনতাইকারী তাঁদের ওপর হামলা চালায়। তাঁরা দুজন মারাত্মকভাবে জখম হন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। ওই দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী দলের সদস্য আব্রাহামকে আটক করে।

হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্য আবদুর রশিদের কপাল ও ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সেখানে সেলাই করতে হয়েছে। এ ছাড়া তিনি হাঁটুতেও আঘাত পেয়েছেন। অপর পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে গেছে, ঠোঁট ও চোখেও আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলমান। একজনকে আটক করা হয়েছে, তিনি বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ