ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, নেত্রকোনা ও ভৈরব রেললাইনে চলাচল বন্ধ
Published: 11th, November 2025 GMT
ময়মনসিংহে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে শম্ভুগঞ্জ ও বিসকা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এতে ময়মনসিংহের সঙ্গে নেত্রকোনা ও ভৈরব রেলপথের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আকতার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জারিয়া-ঝানজাইলগামী বলাকা কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে শম্ভুগঞ্জ ও বিসকা মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে প্রচুর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হচ্ছিল। পরে ট্রেন থামিয়ে চালক, পরিচালক ও রেলওয়ে কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের সঙ্গে নেত্রকোনা ও ভৈরব রেলপথের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর ১২টার দিকে ওসি আকতার হোসেন জানান, এখনো উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি। উদ্ধারকারী ইঞ্জিন আসছে। নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর ট্রেনটি গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় দিনদুপুরে সাংবাদিককে কোপাল দুর্বৃত্তরা
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই সাংবাদিকের সঙ্গে থাকা তাঁর এক সহকর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও অস্ত্র দেখিয়ে ধাওয়া করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর তেরিবাজার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত লুৎফুজ্জামান আলিফ ফকির বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপসী বাংলার নেত্রকোনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা একটার দিকে লুৎফুজ্জামান ও তাঁর সহকর্মী শাহজাহান শেখ দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী পার হতে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে করে নদীর তেরিবাজার ঘাটে নামেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন ব্যক্তি সেখানে আসেন। তাঁদের মধ্যে দুজন চাপাতি হাতে নিয়ে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে তাঁর দুই হাত, পিঠ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। সঙ্গে থাকা শাহজাহান শেখ বাধা দিতে গেলে তাঁকেও কোপানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন লুৎফুজ্জামানকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালভিয়া শেহরিন বলেন, ওই সাংবাদিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্বৃত্তদের কোপে তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
শাহজাহান শেখ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোটরসাইকেল থেকে নামার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার দুর্বৃত্ত আমাদের ঘিরে ফেলে। দুজন চাপাতি হাতে নিয়ে লুৎফুজ্জামানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাঁর বাঁ হাতের আঙুল, ডান হাতের রগ কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে। তাঁর ধারণা, সংবাদ প্রকাশের জেরে দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে।’
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।