যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য দেওয়া সাময়িক আইনি স্বীকৃতি (টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস বা টিপিএস) শেষ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন।

গতকাল সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়েছে, এ নাগরিকেরা নিরাপদে যুদ্ধকবলিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফিরতে পারবেন। (মিয়ানমারের) সামরিক শাসক গোষ্ঠীর পরিকল্পিত নির্বাচন আয়োজনের ঘটনার উল্লেখ করে এটিকে পরিস্থিতির উন্নতি হিসেবে দেখিয়েছে প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মিয়ানমারের যেসব নাগরিক হয়তো নিজ দেশে ফিরতে বাধ্য হবেন, ওই সিদ্ধান্তে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ও বেসামরিক সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রয়েছে মিয়ানমার। অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে মিয়ানমারের জন্য টিপিএসের আর প্রয়োজন নেই। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিপিএসের সুবিধাভোগী মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন প্রায় চার হাজার। তাঁদের জন্য এ সুবিধা আগামী ২৬ জানুয়ারি শেষ হবে বলে জানিয়েছে ডিএইচএস।

ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত টিপিএসকে তার মূল সাময়িক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে।’ তিনি মিয়ানমারের আরেকটি নাম ব্যবহার করে বলেন, ‘বার্মার পরিস্থিতি এতটাই উন্নত হয়েছে যে সেখানে নাগরিকেরা নিরাপদে ফিরতে পারেন। তাই আমরা সাময়িক স্বীকৃতির অবসান ঘটাচ্ছি।’

‘বার্মা তার সরকারব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর মধ্যে আছে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটা, স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচনের পরিকল্পনা, সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থানীয় প্রশাসনের উন্নতি; যা জনসেবা ও জাতীয় একীকরণ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করছে’ বলেন নোয়েম।

ডিএইচএস এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিয়েছে। এতে চীনের মধ্যস্থতার ভূমিকা রয়েছে। ডিএইচএস পুরোনো শান্তি প্রচেষ্টার সঙ্গে এ আলোচনাকে তুলনা করে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিপিএসের সুবিধাভোগী মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন প্রায় চার হাজার। তাঁদের জন্য এ সুবিধা আগামী ২৬ জানুয়ারি শেষ হবে বলে জানিয়েছে ডিএইচএস।

বার্মা (মিয়ানমার) তার সরকার ব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর মধ্যে আছে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটা, স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচনের পরিকল্পনা, সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থানীয় প্রশাসনের উন্নতি; যা জনসেবা ও জাতীয় একীকরণ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করছে।ক্রিস্টি নোয়েম, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী  

তবে আন্তর্জাতিক মহল; বিশেষ করে জাতিসংঘ বলছে, জান্তা সরকারের ডিসেম্বর ও জানুয়ারির পরিকল্পিত নির্বাচন ‘মুক্ত ও স্বচ্ছ’ হতে পারবে না। কারণ, কিছু বিরোধী দল এখনো নিষিদ্ধ এবং সাবেক নেত্রী অং সান সু চি কারাগারে রয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের পরিচালক জন সিফটন বলেন, ‘বাস্তব তথ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষণ কল্পনাপ্রসূত। (মিয়ানমারে) সরকারব্যবস্থায় উন্নতি বা স্থিতিশীলতায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। জরুরি অবস্থা বাতিলের কোনো প্রভাব নেই। সামরিক সরকারের ঘোষিত নির্বাচনের ঘটনাও শুধু নাটক।’

মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িক বৈধতা বাতিল করার পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি এমনকি তাঁর নিজের রিপাবলিকান দলের কিছু সদস্যের অবস্থানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে কঠোর নীতি চাইছেন। গত সপ্তাহে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক সাবকমিটির চেয়ারম্যান ইয়ং কিম এক শুনানিতে জান্তার নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে ‘ছুতা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি নিজের বৈধতা পাওয়ার লক্ষ্যে জান্তার ধোঁকা দেওয়ার একটি পরিকল্পনা।’

পররাষ্ট্র দপ্তরের আগস্টের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য
সামরিক সংঘাত, সশস্ত্র দ্বন্দ্ব ও স্থানীয় আইন নিজের মতো প্রয়োগের কারণে মিয়ানমারে ভ্রমণ না করার জন্য মার্কিনদের সম্প্রতি সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

দপ্তরের সর্বশেষ মানবাধিকার প্রতিবেদনে (আগস্টে প্রকাশিত) বলা হয়, মিয়ানমারে ‘গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সমস্যা’ রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাছবিচারহীন হত্যা, গুম, নির্যাতন, সাংবাদিক নিপীড়ন ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার সংকট আরও খারাপ হয়েছে। সামরিক শাসকগোষ্ঠী ও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে। ফলে বেসামরিক এলাকায় বা এর কাছাকাছি বিমান হামলা ও কামান থেকে গোলাবর্ষণ বেড়েছে।’  এ ছাড়া প্রতিবেদনে দুই জ্যেষ্ঠ বিরোধী নেতার মৃত্যুর বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের আটক করেছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চাইলে, তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরিবর্তে ডিএইচএসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে এ দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য টিপিএসের মেয়াদ ১৮ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসনের সময় ২৫ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল এটি।

রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক দেশের নাগরিকের টিপিএস সুবিধা বাতিল করেছেন। এটি তাঁর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ম নব ধ ক র ড এইচএস দ র জন য ট প এস র উল ল খ র অবস সরক র অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িক বৈধতা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য দেওয়া সাময়িক আইনি স্বীকৃতি (টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস বা টিপিএস) শেষ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন।

গতকাল সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দিয়েছে, এ নাগরিকেরা নিরাপদে যুদ্ধকবলিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফিরতে পারবেন। (মিয়ানমারের) সামরিক শাসক গোষ্ঠীর পরিকল্পিত নির্বাচন আয়োজনের ঘটনার উল্লেখ করে এটিকে পরিস্থিতির উন্নতি হিসেবে দেখিয়েছে প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মিয়ানমারের যেসব নাগরিক হয়তো নিজ দেশে ফিরতে বাধ্য হবেন, ওই সিদ্ধান্তে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ও বেসামরিক সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রয়েছে মিয়ানমার। অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে মিয়ানমারের জন্য টিপিএসের আর প্রয়োজন নেই। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিপিএসের সুবিধাভোগী মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন প্রায় চার হাজার। তাঁদের জন্য এ সুবিধা আগামী ২৬ জানুয়ারি শেষ হবে বলে জানিয়েছে ডিএইচএস।

ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত টিপিএসকে তার মূল সাময়িক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে।’ তিনি মিয়ানমারের আরেকটি নাম ব্যবহার করে বলেন, ‘বার্মার পরিস্থিতি এতটাই উন্নত হয়েছে যে সেখানে নাগরিকেরা নিরাপদে ফিরতে পারেন। তাই আমরা সাময়িক স্বীকৃতির অবসান ঘটাচ্ছি।’

‘বার্মা তার সরকারব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর মধ্যে আছে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটা, স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচনের পরিকল্পনা, সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থানীয় প্রশাসনের উন্নতি; যা জনসেবা ও জাতীয় একীকরণ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করছে’ বলেন নোয়েম।

ডিএইচএস এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিয়েছে। এতে চীনের মধ্যস্থতার ভূমিকা রয়েছে। ডিএইচএস পুরোনো শান্তি প্রচেষ্টার সঙ্গে এ আলোচনাকে তুলনা করে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিপিএসের সুবিধাভোগী মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন প্রায় চার হাজার। তাঁদের জন্য এ সুবিধা আগামী ২৬ জানুয়ারি শেষ হবে বলে জানিয়েছে ডিএইচএস।

বার্মা (মিয়ানমার) তার সরকার ব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর মধ্যে আছে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটা, স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচনের পরিকল্পনা, সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থানীয় প্রশাসনের উন্নতি; যা জনসেবা ও জাতীয় একীকরণ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করছে।ক্রিস্টি নোয়েম, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী  

তবে আন্তর্জাতিক মহল; বিশেষ করে জাতিসংঘ বলছে, জান্তা সরকারের ডিসেম্বর ও জানুয়ারির পরিকল্পিত নির্বাচন ‘মুক্ত ও স্বচ্ছ’ হতে পারবে না। কারণ, কিছু বিরোধী দল এখনো নিষিদ্ধ এবং সাবেক নেত্রী অং সান সু চি কারাগারে রয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের পরিচালক জন সিফটন বলেন, ‘বাস্তব তথ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষণ কল্পনাপ্রসূত। (মিয়ানমারে) সরকারব্যবস্থায় উন্নতি বা স্থিতিশীলতায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। জরুরি অবস্থা বাতিলের কোনো প্রভাব নেই। সামরিক সরকারের ঘোষিত নির্বাচনের ঘটনাও শুধু নাটক।’

মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িক বৈধতা বাতিল করার পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি এমনকি তাঁর নিজের রিপাবলিকান দলের কিছু সদস্যের অবস্থানের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে কঠোর নীতি চাইছেন। গত সপ্তাহে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক সাবকমিটির চেয়ারম্যান ইয়ং কিম এক শুনানিতে জান্তার নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে ‘ছুতা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি নিজের বৈধতা পাওয়ার লক্ষ্যে জান্তার ধোঁকা দেওয়ার একটি পরিকল্পনা।’

পররাষ্ট্র দপ্তরের আগস্টের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য
সামরিক সংঘাত, সশস্ত্র দ্বন্দ্ব ও স্থানীয় আইন নিজের মতো প্রয়োগের কারণে মিয়ানমারে ভ্রমণ না করার জন্য মার্কিনদের সম্প্রতি সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

দপ্তরের সর্বশেষ মানবাধিকার প্রতিবেদনে (আগস্টে প্রকাশিত) বলা হয়, মিয়ানমারে ‘গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সমস্যা’ রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাছবিচারহীন হত্যা, গুম, নির্যাতন, সাংবাদিক নিপীড়ন ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার সংকট আরও খারাপ হয়েছে। সামরিক শাসকগোষ্ঠী ও বিরোধীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে। ফলে বেসামরিক এলাকায় বা এর কাছাকাছি বিমান হামলা ও কামান থেকে গোলাবর্ষণ বেড়েছে।’  এ ছাড়া প্রতিবেদনে দুই জ্যেষ্ঠ বিরোধী নেতার মৃত্যুর বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের আটক করেছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চাইলে, তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরিবর্তে ডিএইচএসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে এ দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য টিপিএসের মেয়াদ ১৮ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসনের সময় ২৫ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল এটি।

রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক দেশের নাগরিকের টিপিএস সুবিধা বাতিল করেছেন। এটি তাঁর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ